লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :
ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো ৮ মার্চের আগে খুলছে না। এটা
পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, দেশের সবচেয়ে দুর্বল মানুষগুলোকে টিকা দিতে ‘অতিরিক্ত কয়েক সপ্তাহ দরকার’ বলেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাঁর ভাষায় ‘দেশ এখনো ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে’। টিকাদানের প্রভাব মহামারীর ওপর কীভাবে পড়বে, সেটা এখনো পরিস্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮ মার্চ থেকে স্কুল খুলবে বলে প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনাকে ‘মিথ্যা আশ্বাস’ বলে আখ্যায়িত করেছে ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন। তারা মনে করে, স্কুল খোলার তারিখ নির্ধারণ করার মত পরিস্থিতি এখনো আসেনি। হাউজ অব কমন্সে এমপিদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বরিস জনসন বলেছেন, পর্তুগাল, ব্রাজিল, ও সাউথ আফ্রিকা সহ ২২ টি ‘উচ্চ-ঝুকি’র দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে, শিক্ষক ও স্কুল স্টাফদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার দাবি জানানো অব্যাহত রেখেছেন বিরোধী নেতা কিয়ার স্টারমার। জবাবে প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, অগ্রাধিকার তালিকায় শিক্ষকদের ঢোকাতে আরো সময় লাগবে। এখনই তাদেরকে টিকা দেয়া হলে ‘লকডাউন থেকে দেশকে বের করে নিয়ে আসার রোডম্যাপ’ বিলম্বিত হতে পারে।
এদিকে ভ্যাকসিনেশন বা টিকাদানের ফলে লোকজনের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লো কি-না এবং হসপিটালে ভর্তি ও মৃত্যুর হারের ওপর এর প্রভাব পড়ছে কিনা তা ২২ ফেব্রুয়ারীর সপ্তাহে গিয়ে বোঝা যাবে।
পার্লামেন্টে লেবার দলীয় এমপি ড্যাম এঞ্জেলা ইগল প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছে, মহামারী ছড়িয়ে দিতে ১৭% ভূমিকা রাখা সরকারের ‘ইট আউট টু হেলপ আউট’ প্রোগ্রাম নিয়ে তিনি গর্ব বোধ করেন কিনা।