প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১০, ২০২৫, ৭:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২১, ১১:০৯ পি.এম
ইউএনওর পরিচয়ে প্রতারণা!অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র
নিরেন দাস,জয়পুরহাট,জেলা প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)এস.এম হাবিবুল হাসানের পরিচয় দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি ভাবে আসা বরাদ্দকৃত ল্যাপটপ দেওয়ার কথা বলে উপজেলার দুই বিদ্যালয়ের দুই প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৪ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারক চক্রের নিকট টাকা গুলো পাঠিয়েছেন উপজেলার ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরও ২ জন ও দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা প্রশাসন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ই আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহারের মুঠোফোনে ০১৮৬৩-৯৭৫৬৮২ এ নম্বর থেকে একটি কল আসলে তিনি কলটি রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে সরাসরি
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম হাবিবুল হাসানের পরিচয়ে দিয়ে বলা হয় যে আপনাদের বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি ভাবে ল্যাপটপ বরাদ্দ এসেছে। তার জন্য খরচ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষক প্রতি ৮ হাজার টাকা করে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকি হিসাব ০১৮৪৯-৩৯৩৪৭৩ নম্বরে টাকা গুলো পাঠাতে হবে।
ইউএনওর পরিচয় দাতা প্রতারক চক্রের কথা মতো প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার, সহকারী শিক্ষক কল্লোল হাসান ও লায়লা আনজুমান একই বিদ্যালয়ের এ ৩ জন শিক্ষক মিলে ৮ হাজার করে সর্বমোট ২৪ হাজার টাকা উক্ত নম্বরে পাঠান।
অপরদিকে একই কৌশলে একই নম্বর থেকে ইউএনওর পরিচয়ে কল দিয়ে উপজেলার দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জু আরা'র কাছ থেকেও ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়েছে প্রতারক চক্রটি।
প্রতারণার শিকার ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন,ইউএনওর স্যারের পরিচয়ে কল দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দকৃত ল্যাপটপ দেয়ার কথা বললে আমরা ৩ জন শিক্ষকরা সরল বিশ্বাসে ৮ হাজার করে ২৪ হাজার টাকা উক্ত নম্বরে পাঠিয়েছি।
পর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি,আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা থানায় উপস্থিত হয়ে কল আসা ও টাকা পাঠানো নম্বর গুলো উল্লেখ করে প্রতারক চক্রটিকে ধরতে আমরা সাধারণ ডায়রি করে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়েছি।
আক্কেলপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র পরিকল্পনা করে ইউএনওর স্যারের পরিচয়ে ৪ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি। তিনি আরও বলেন, প্রতারণার বিষয়টি উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং এ প্রতারক চক্রের বিষয়ে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কঠোরভাবে সচেতন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন,প্রতারণার অভিযোগটি আমলে নিয়ে চক্রটিকে ধরতে বিষয়টি গুরুত্বের সহিত তদারকি করা হচ্ছে।ওসি আরও বলেন অভিযোগে উল্লিখিত প্রতারক চক্রের ব্যবহারকৃত যে নম্বর গুলো দিয়ে টাকা গুলো হাতিয়ে নেয়া হয়েছে সেই নম্বর গুলো শনাক্ত করার জোড় চেষ্টা চলছে।
এবিষয়টি নিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)এস.এম হাবিবুল হাসানের কথা বললে তিনি জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, বিষয়টি জানান পরেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রতারণার শিকার শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং শিক্ষকরাই বাদী হয়ে ইতিমধ্যে আক্কেলপুর থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি আরও বলেন এ প্রতারক চক্রের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতারক চক্র যাতে আর কোন প্রতারণা না করতে পারে সে বিষয়েও উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে।এখন পর্যন্ত প্রতারক বা প্রতারক চক্রের কোন পরিচয় পাওয়া না গেলেও চক্রটিকে ধরতে প্রশাসনিক জোড় তৎপরতা চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy