নেত্রকোনার মদনে গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮ ঘটিকার সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাফায়াত উল্লাহ রয়েল ও তার লোকজন মিলে ইউপি সদস্য তাজউদ্দীনকে মারধর করে।
এসময় ইউপি সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ গুরুতর আহত হলে স্বজনেরা তাকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করেন। তাজউদ্দি এখন চিকিৎসাধিন রয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে ১ নং কাইটাইল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও তার চাচাতো ভাই সুমন, ভুক্তভুগি ও বাজারবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্বে তাজউদ্দিন এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টায় একটি মামলা হয় ।
সেই মামলার সহযোগিতা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এমন ফোন রেকর্ড পায় ইউপি সদস্য তাজউদ্দীন আহমদ। এই ফোন রেকর্ড তাজউদ্দিন এর ফোনে থাকায় চেয়ারম্যান ও তার চাচাতো ভাই সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং কাইটাল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল বলেন, আমি ইউপি সদস্য তাজউদ্দিনকে মারধর করিনি। সে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।একথা পুলিশের কাছেও বলেছে আমি এর বেশি কিছু জানি না।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটা ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেন একই গ্রামের হারেছ ও তার বোন বাদী হয়ে। এই মামলাটি সহযোগিতা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়ত উল্লাহ রয়েল,এই প্রমান পত্র আমার ফোনে থাকায় ফোনটি নিয়ে গেছে ও আমাকে মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে মদন থানা ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, ইউপি সদস্য তাজউদ্দিনকে মারধরের কোন অভিযোগ পাইনি, তবে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমদ বলেন,শুনেছি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।