নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
মাত্র ১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটের টাকা দিতে না পারায় এক সাথে চলা অপর বন্ধুদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হতে হয় সুমন হোসেন (২৩) নামে এক যুবককে। ক্লুলেস এই খুনের ঘটনার মাত্র এক মাসের মধ্যে এ খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, ভেটি হাজিপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে জয় হোসেন (২৬),দেওয়ান পাড়ার বাবুলের ছেলে সৈকত হোসেন (২৭) ও তেঘরবিশা গ্রামের তসির উদ্দিনের ছেলে সুজাউল (৩৬)।
দৈনিক সূর্যোদয়কে লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা-পিপিএম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান,প্রথমে আটক করা হয় জয় হোসেনকে। তিনি এ খুনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দি মোতাবেক এ খুনের সঙ্গে জড়িত সৈকত ও সুজাউল কে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়।
আটককৃত জয় বিজ্ঞ আদালতে তার জবানবন্দি ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের টাকা দিতে না পারায় সুমনের সাথে আমাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে গত ১৩ মার্চ রাতে সুমনকে বাড়ির অদূরে একটি ফলদ ও বনজ বাগানে ডেকে নিয়ে টাকা চাওয়া হয়। সুমন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুমনকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অন্য বন্ধুরা। খবর পেয়ে সুমনের স্ত্রী,ভাই ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন’কে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৭ মার্চ বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ সকালে সুমনের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে গত ২৫ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় অজ্ঞাত আসামি করে। গত ২০ এপ্রিল মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’কে।
এ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি’র উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক সূর্যোদয়কে জানান,মামলাটি তদন্তের সময় মাদক নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল অনুসন্ধানে এমন তথ্যের সূত্র ধরে এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে খুন, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এ তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান দ্রুত এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে পুলিশি রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..