ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজারঃ
‘উচ্ছেদ আতঙ্কে ৫ শতাধিক পরিবার, চলছে পাহাড় দখল’ শিরোনামে ১১ অক্টোবর ২০২১ তারিখ দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদটি একেবারে ভুঁয়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মুলতঃ সংবাদে যেসব কথাবার্তা লেখা হয়েছে তা প্রতিবেদকের মনগড়া। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থার উদ্যোগ হিসেবে ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
অন্যদিকে সংবাদে উল্লেখিত মুহুরিপাড়ায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোন প্রকল্পই নাই। তা স্বত্বেও সেখানে ‘উচ্ছেদ আতংক’ শিরোনাম দিয়ে কার বা কাদের স্বার্থে প্রতিবেদক এমন বানোয়াট সংবাদটি লিখেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সংবাদটিতে ওই বছরের ১৩ মার্চ ৯৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা অধিক্ষেত্র করা হয়েছে ,নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগে অনিহা ইত্যাদি উল্লেখ করে কউক চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে তাকে সকল অনিয়মের হোতা ও শহর পরিকল্পনার ন্যুনতম জ্ঞান নেই বলা হয়েছে;
যা রীতিমত হাস্যকর, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ প্রসূত, হলুদ সাংবাদিকতা। প্রকৃতপক্ষে ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয় ২০২০ সালে। আর নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভূক্ত।
আমাদের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই বিধি মোতাবেক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে; যা চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে কক্সবাজারকে আধুনিক ও পরিকল্পিতভাবে সাঁজাতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় একেবারে শূণ্য থেকে আজ উন্নয়নের মডেল শহররুপে দাঁড় করানো হয়েছে কক্সবাজার শহরকে ।
তাছাড়া প্রকাশিত সংবাদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদক, ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, জবাবে তাকে বলা হয় এ ধরণের কোন উদ্যোগ নাই, এটিই ছিল কউক এর বক্তব্য।
কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতার কারনে এবং এসব মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থের পাশাপাশি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে হেয় প্রতিপন্ন করার কুমানসে স্বার্থান্বেষী মহল উন্নয়ন বিরোধী চক্রকে সুযোগ করে দেয় ।
কউক, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পর্যটন নগরীকে সাজাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারবাসি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত প্রকল্প লালদিঘী, গোলদিঘী, বাজারঘাটাসহ পাঁচটি সৌন্দর্য বর্ধন লাইটিং পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয়রা বিনোদনের সুফল ভোগ করে আসছে ।
এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের মাধ্যমে এ সকল হলুদ সাংবাদিকরা পেশাগত দক্ষ, অভিজ্ঞ সম্মানিত সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুন্ন করে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সংবাদটি প্রত্যাখান করেছে এবং ভবিষ্যতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা কউক এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী লিখে মনোরঞ্জনের চেষ্টা করা হলে আইনগত ও ডিজিটাল আইনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবাদকারী
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy