নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরখান মধ্যপাড়া এলাকায় গর্ভপাত করাতে গিয়ে মালা রানী দাস(৩৫) এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় ভূয়া ডাক্তার দম্পত্তি গোলাম রাব্বানী ও হাসিনা আক্তার গ্রেফতার হলেও তাদের শেল্টারদাতা মো.ইউসুফ ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। ৩রা জুলাই তিন সন্তানের জননী মালা রানী দাস গোলাম রাব্বানী এবং হাসিনা আক্তার দম্পত্তির বাসায় গর্ভপাত করাতে যান।গর্ভপাতের সময় ভূলচিকিৎসার কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে হাসিনা মালাকে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ালে মালার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু হলে ভূয়া চিকিৎসক দম্পত্তি মালার লাশ গুম করার জন্য বস্তা বন্ধি করে বাসার পেছনের ডোবায় ফেলে দেয়।উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান,গর্ভপাত করাতে আসা মালা রানীকে না পেয়ে তার স্বামী হরি গোপালদাস উত্তরখান থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন।পুলিশ তদন্তে নেমে রাব্বানী ও হাসিনা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনা স্বীকার করে বিস্তারিত জানা্ন। তাদের দেয়া তথ্য মতে ডোবা থেকে গতকাল মালার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনায় উত্তরখান থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে যাহার নং-০৬।লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে এমনটি জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ওয়ারেস।
জানা যায়, ভূয়া ডাক্তার দম্পত্তি দির্ঘদিন ধরে মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারনা করে আসছে।২০১৮ সালে তারা উত্তরখান বালুরমাঠ এলাকায় একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টার খুলে সেখানে ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে মো.ইউসুফের ছত্রছায়ায় বিভিন্নভা্বে প্রতারনা করার অভিযোগও পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে।সন্তান সম্ভাবা এক নারী তাদের দালালের হাত ধরে প্রসব বেথা নিয়ে তাদের ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে আসলে ভুল চিকিৎসার কারনে নবাগত শিশুটির মৃত্যু হলে সেই ঘটনায় রাব্বানী এবং হাসিনা দম্পত্তির বিরুদ্ধে একই থানায় ২০১৮ সালে একটি মামলা হয়।মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তখন মরিয়া হয়ে ওঠে মো.ইউছুফ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার স্থানীয়রা জানান, মো.ইউছুফ গোলাম রাব্বানী ও হাসিনার সাথে যোগ সাজস করে ডাযাগনেস্টিক সেন্টারের মূল মালিকের সমস্ত মেশিনারিজ ও বিভিন্ন মালামাল জোর পূর্বক বিক্রী করে টাকা আত্মসাত করাসহ তাদের সমস্ত অপকর্মের সাথে জড়িত।স্থানীয়রা প্রশাসনের সঠিক তদন্তের দাবি জানায়। মো. ইউসুফের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।।