উত্তরখান থানাধীন মাজার চৌরাস্তায় ৩৪ শতাংশ জমির উপর সেমিপাকা প্রায় ৫০টি টিনসেড দোকানে চাঁদাবাজীসহ মার্কেট দখল করার ঘটনায় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাসহ কয়েক জনের নামে চাঁদাবাজীর মামলা হয়েছে। আসামীদের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, শিমুল, শাহ আলম ও পলাশ তারা আরো কয়েকজন সাংগ পাঙ্গ নিয়ে উত্তরখানের প্রভাবশালি এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। এছাড়াও তারা নিজেদেরকে যুবলীগ নেতা দাবি করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মহানগর নেতাদের নাম ভাঁঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপি নেতা ফালুর বাজার দখলকরে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । তাদের এহেন চাঁদা বাজি কর্মকান্ডে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ফালুর বাজারের দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিমুল, পলাশ দুইজন আপন ভাই এবং শাহ আলম এই তিন জনের চাহিদা মতো প্রতিদিন টাকা না দিলে তারা নিরীহ দোকানদারদেকে কথায় কথায় শারীরিক নির্যাতন করে এবং জোর পূর্বক দোকানের মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়াও গভীর রাতে তারা তাদের লোকজনকে দিয়ে বড় বড় মাছ,মুরগীসহ বিভিন্ন দামী মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কোথাও বিচার দিতে গেলে তারা নিরীহ দোকানদারদেরকে দোকান থেকে বের করে দেয় এবং চড়া দামে প্রতিটি দোকান ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অন্য পার্টির নিকট বিক্রি করে দিয়ে সে টাকা নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয়। এ ভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ফালুর বাজার নামে পরিচিত এ মার্কেটে মাছ,মাংস, মুরগী,মুদি, সবজি এবং নানাবিধ কয়েকটি ফলের দোকানের ভাড়া উঠানো এবং মালিকানাকে কেন্দ্র করে গত ০৯/০৯/২০২৩ ইং তারিখ দুই গ্রুপের মধ্যে মারা মারি ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়।
মারা মারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মারাত্মক আহত হন মার্কটের একটি অংশের দাবিদার নিজাম উদ্দিন মার্কেটের মালিকের ছেলে অধ্যক্ষ মোঃআলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় আলমগীর বাদী হয়ে রবিবার ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখ উত্তরখান থানায় মামলা করেন,মামলা নং ১২।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আসামী শাহ আলম, শিমুল এবং পলাশ বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।এতে মামলার বাদী আলমগীর ও তার ম্যানেজার রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পরে থাকলে স্থানীয় লোকজন তাকে এবং তার ম্যানেজার নুরুকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।সেখানে চিকিৎসা শেষে আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে পরিবারের লোকজন উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের লুবানা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে একাধীকবার তার কিডনি ডায়ালাইসিস করানো হয়। চিকিৎসা শেষে রবিবার চিকিৎসা সনদ ও যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে উত্তরখান থানায় হাজির হয়ে তিনি বাদী হয়ে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত ঘটনায় মোঃশাহ আলম মিয়া,মোঃ মহিউদ্দি শিমুল, মোঃ পলাশসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আরো২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করা বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর অপারেশন মাহবুব আলম জানান মামলার খবর পেয়ে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছ।