বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আসন্ন উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
সূত্রটি জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি বেগম জিয়া না জানলেও টেলিভিশনের মাধ্যমে এই খবর জানতে পারেন এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারেক জিয়ার নির্দেশের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সবাই মনে করে যে, এই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা ঠিক হবে না।
তখন বেগম জিয়া বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি তাহলে অংশগ্রহণ করলো কেন? এমন নানা প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে বিএনপি মহাসচিব চুপ ছিলেন।
এ সময় বেগম খালেদা জিয়া তাকে তিরস্কার করে বলেন, এ সমস্ত নাটক বন্ধ করেন। কে যে কী করেছে, কার কোনটা আসল, কোনটা নকল- সব আমি জানি।
সূত্রটি আরো জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন একটি গণ রায় হতে পারত। এর মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মনোভাব যাচাই করা যেত। উপনির্বাচনে অংশ না নেয়ায় এখন আর সেটা হলো না।
জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরইমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়ে অনেক কথা বেগম জিয়ার কাছে এসেছে। খালেদা জিয়া জানতে পেরেছেন যে, তাকে মুক্ত না করার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র ছিল। যার ফলে তীব্র কোন আন্দোলন গড়ে উঠতে পারেনি। সেই ষড়যন্ত্রে তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জড়িত ছিলেন। এ কারণে তিনি এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর ক্ষুব্ধ। এমন অবস্থায় সবকিছু থেকে দূরে সরে আছেন তিনি।
এছাড়া দলে তারেকের একক আধিপত্যের কারণে দলের কোন বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা হয় না।