1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
একই জমিতে ধান-মাছ চাষ, আয় কয়েকগুণ বেশি
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
“বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ৭ই মার্চ সাংবাদিক নয়নের উপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন  নওগাঁর সাপাহারে ৫৯ জন ভূয়া দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : মোঃ লিটন মাদবর বিল্লাল  ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : আনোয়ার হোসেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : হাসান মন্ডল 

একই জমিতে ধান-মাছ চাষ, আয় কয়েকগুণ বেশি

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ৪.৫৮ এএম
  • ১০৭ বার পঠিত

হাজী মোক্তার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট

শের অর্থনীতিতে মাছ চাষ এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে। এরমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া অন্যতম মৎস্য উৎপাদন খ্যাত হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষই অর্থনীতি উন্নয়নে মাছ চাষ করে এক অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বিল, পুকুর, জলাশয় ও ফসলি জমিতে বাঁধ দিয়ে তারা মৎস্য চাষ করছেন। পাশাপশি নিচু এলাকার এক ফসলি ধান জমিতে করছেন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষও। এতে করে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা ধানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আয় করছেন।

এরই মধ্যে একই জমিতে ধান ও মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষি ও কৃষকরা এ পদ্ধতিতে মাছ ও ধান চাষ করে এলাকায় এক নীরব বিল্পব ঘটিয়েছে। সমন্বিত এ চাষে বর্তমানে স্থানীয় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, এ উপজেলায় বৎসরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন মাছ। এখানে মাছের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন। উদ্ধৃত থাকছে ১ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বাইরে সরবরাহ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিগুলোতে প্রতি বছর এক ফসলি ধান চাষ করা হয়। বর্ষার সময় ওইসব জমিতে অন্তত ৫-৬ মাস পানি থাকে। ধান কাটার পর ওইসব জমিগুলো প্রায় ৭ মাসের বেশি সময় খালি পড়ে থাকে। তখন নিচু জমিগুলোতে বাঁধ দিয়ে বা প্রজেক্ট তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করছে স্থানীয় কৃষকরা। চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া,পাঙাশ, স্বরপুটি, কার্ফ, গ্রাসকাপ, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির মাছ। দিনের পর দিন বাড়ছে চাষের পরিধিও।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের তারাগন, উপজেলার, মোগড়া, মনিয়ন্দে বিশাল এলাকজুড়ে রয়েছে অসংখ্য পুকুর ও ছোট বড় মৎস্য প্রজেক্ট এবং রয়েছে বিলও। বর্ষা মৌসুমে নিচু এলাকার জমিগুলোতে পানি থৈ থৈ করে। ওইসব প্রজেক্ট ও বিলের মধ্যে স্থানীয় চাষিরা মৌসুম ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ধান চাষের পর তারা বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ করছেন। ধান চাষ করে কৃষকরা যে টাকা আয় করছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আয় করছেন মাছ চাষ করে বলে তারা জানান।

উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকার মাছ চাষি মো. বাছির মিয়া বলেন, বাড়ি সংলগ্ন একটি বিলে তার ৪৫ শতক জায়গা রয়েছে। ওই জায়গা নিচু হওয়ায় এক ফসল ধান করা হয়। জমিতে বেশিরভাগ সময় পানি থাকায় কোনো কিছু করা হতো না। দিন দিন মাছ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে তিনি ধান কাটার পর জমিতে পানি আসায় সম্মিলিতভাবে তিনি মাছ চাষ করছেন।

তিনি আরো বলেন, গত বছর মাছ চাষ করে খরচ বাদে ৩০ হাজার টাকা তার আয় হয়। আর এই জমিতে ধান চাষ করে তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার টাকা। ধান থেকে মাছে আয় বেশি হওয়ায় আমি খুবই খুশি।

সোহাগ মিয়া বলেন, বাড়ি সংলগ্ন একটি বিলে ৬০ শতক তার জমি রয়েছে । প্রতিবছর ধান কাটার পর ওই বিল কয়েকজন মিলে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। এ বছর ওই বিলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছেড়েছেন। ইজারা মাছ ক্রয়, খাবার, ওষুধ,পরিচর্যাসহ তার প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপর খরচ হয়। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এখন পযর্ন্ত যে অবস্থা তিনি আশা করছেন খরচ বাদে ১ লাখ টাকার উপর আয় সম্ভব। তাছাড়া তার নিজ জমিতে ধান চাষ করে ১২-১৪ হাজার টাকার ফলল পাচ্ছেন।

মো. ফারুক মিয়া বলেন, একটি মৎস্য প্রজেক্ট ১লাখ টাকা দিয়ে ৭ মাসের জন্য ইজারা নেওয়া হয়। ধান কাটা শেষ হলে প্রথমে পানি সংকটে পড়তে হয়। এক পর্যায়ে স্যালো মেশিন দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে মাছ চাষের উপযুক্ত করে নতুন পদ্ধতিতে বড় সাইজের দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়। এ পযর্ন্ত ১০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। একই জমিতে ধান ও মাছ চাষে জমি উর্বর থাকে। ফলনও ভালো হয়। তবে বেশি ভাগ মৎস্য চাষি রয়েছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ধান ও মাছ উৎপাদনে কোনো সমস্যায় চাষিরা আমাদের কাছে আসলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি।

মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, এ উপজেলায় অনেক মৎস্য চাষি একই জমিতে দুই চাষ করে বেশ চমক সৃষ্টি করেছেন। একই জমিতে পৃথক দু’চাষে জমি উর্বর থাকে। যা ফসলের জন্য খুবই উপকারী। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews