২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য সোয়া ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম পর্যায়ের আবেদন নেওয়া শেষ হচ্ছে। শুরু হয়েছিল ৯ আগস্ট। এবার কেবল অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়েছে।
এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এই ভর্তির কাজটি হচ্ছে। ঢাকা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর গণমাধ্যমকে জানান, তখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। অবশ্য আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের পর আরও দুই দফায় আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। অবশ্য তখন আবেদন খুবই কম থাকে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পেরেছে। আবেদনকারী ও কলেজের আসনসংখ্যা অনুযায়ী, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত হলো, তা বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট।
এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। এরপর ভর্তির নিশ্চয়ন, মাইগ্রেশনের কাজ শেষে আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ভর্তির কাজটি করা হবে।
এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোটা রাখা হয়নি। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য সাফল্যের (পুরস্কারপ্রাপ্ত) অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও করোনা মহামারির কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আটকে গিয়েছিল। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। আর একাদশ শ্রেণিতে সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে প্রায় ২২ লাখ। মোট আসন নিয়ে সংকট না হলেও ভালো কলেজগুলোতে আসন কম থাকায় অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
২০১৫ সাল থেকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কাজটি করা হচ্ছে।