দক্ষিণ কোরিয়াকে আক্রমণ করার হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। রাষ্ট্র পরিচালিত উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ সূত্রের খবর উত্তর কোরিয়া’র সর্বময় কর্তা কিম জং উন–এর বোন, রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কিম ইও জং বলেছেন, আমি মনে করি দক্ষিণ কোরিয়ার শাসকদের নিশ্চিতভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার এটাই সেরা সময়। আমরা খুব দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। দক্ষিণ কোরিয়াকে কোরিয়াকে শায়েস্তা করতে এভাবেই সরাসরি হুমকি দেন কিমের বোন। বিক্ষুব্ধদের দ্বারা পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে ছড়িয়ে পড়ার পরই গত সপ্তাহ থেকেই উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কিম প্রশাসন বিক্ষুব্ধদের মদদ জোগানোর অভিযোগ এনেছে। সেই অভিযোগকে এবার সরাসরি হুমকির পর্যায়ে নিয়ে গেলেন দেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী কিম ইও জং। তার বিবৃতিতে জং বলেন, দেশের শীর্ষ নেতা, আমাদের দল ও রাষ্ট্র আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছে তারই অধিকারে আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছি নিশ্চিত দৃঢ়তার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানালেও সেনা অভিযান সম্পর্কে বিশদ কিছু জানাননি কিম ইউ জং। যদিও সীমান্ত শহর কায়েসং–এর যোগাযোগকারী অফিসারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন নেত্রী। গত সপ্তাহেই বিক্ষুব্ধদের প্রতিহত না করার জন্য কিম ইউ জং সিওলকে দায়ী করেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা যা করেছে সেটা তাদের গভীরভাবে অনুভব করিয়ে দেওয়া দরকার। শনিবার সারাদিন ধরেই অবশ্য কিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সংবরণ ও উত্তর–দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানোকে ‘নির্বোধ কথাবার্তা’ বলে সকালেই প্রশাসনের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। গত দু’দিন আগেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমনন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হটলাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় মার্কিন প্রশাসন হতাশা প্রকাশ করলে উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া দেশের বিক্ষুব্ধরা সক্রিয় হয়ে ওঠার পর থেকেই উত্তর কোরিয়া আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করতে শুরু করে।