ডেস্ক: যখন দিল্লি আর বেইজিং এর সংঘাত নিয়ে দুই দেশেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তখন পাকিস্তান ভারতের জন্য নতুন চিন্তার উদ্রেগ করলো। ভারতের একাধিক ভূখণ্ড তাদের মানচিত্রে সংযুক্ত করে ভারতকে ভালোই বিব্রত করলো পাকিস্তান।
'সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে'র সদস্য দেশগুলির আয়োজনে ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। এই মিটিংয়ে পাকিস্তানের এই ম্যাপ দেখা পর 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার (এনএসএ)-র এই ভার্চুয়াল মিটিং থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বের হয়ে যায় ভারত। এই মিটিংয়ে পাকিস্তান তাদের দেশের যে নতুন ম্যাপটি তুলে ধরে তাতে দেখা যায়, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং গুজরাতের কিছু অংশ অবলীলায় পাকিস্তানের সেই মানচিত্রে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, যে মানচিত্রটি পাকিস্তান দেখিয়েছে তা আগস্ট মাসের ৪ তারিখে তৈরি করেছিল। মিটিংয়ে পাকিস্তানের এরকম আচরণ স্বভাবতই ভালভাবে নেয়নি ভারত। তাই ভারত রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পাকিস্তানের এই আচরণকে 'এক্সারসাইজ ইন পলিটিক্যাল অ্যাবসারডিটি' বলে উল্লেখ করল নয়াদিল্লি।
এই ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, এনএসএ-র এই মিটিংয়ে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কাল্পনিক মানচিত্র তুলে ধরেছে। যে কোনও আলোচনার আসরে এই ধরনের কাজ তো মিটিংয়ের মূল লক্ষ্যটিকেই ব্যাহত করে। তা ছাড়া মিটিংয়ের হোস্টের পক্ষেও এটা বেশ অবমাননাকর ব্যাপার।
ঘটনা হল, আসল মানচিত্র যা-ই হোক, আর পাকিস্তান যে মানচিত্রই বৈঠকে তুলে ধরুক তার তুল্যমূল্য বিচার নিয়ে পাকিস্তানের তরফে কোনও স্পষ্ট ও স্বচ্ছ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ভারতকে সমালোচনা করতেও ছাড়েনি তারা। পাকিস্তান জানায়, যে-ফোরামের কাজই সহযোগিতার আবহ তৈরি করা সেই রকম একটি মঞ্চ থেকে ভারতের এই ভাবে বেরিয়ে যাওয়াটা বেশ বাজে একটা ব্যাপার।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy