নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এলজিইডিতে নারী কর্মচারীর শাহনাজ পারভীন ব্লাকমেলিং করে অর্থ আত্মসাৎ'র অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হাসানুজ্জামান।ভুক্তভোগী হাসানুজ্জামান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,এলজিইডির সদর দপ্তরে যানবাহন শাখায় কর্মরত আছি।আমি সর্বদায় আমার কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছি।
গত ১৯ /১২/২৪ ইং তারিখে আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকার সময় আমাকে দেলোয়ার খাঁন পলক নামের একজন ফোন দিয়ে বলেন আপনার একটি ভিডিও ক্লিপ আছে আমার সঙ্গে দেখা করেন।
পরে আমি অফিস টাইমের পর সাক্ষাৎ করলে, তখন তারা আমার অফিসের একজন নারী কলিগ'র( শাহনাজ পারভীন) আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ভিডিওটি দেখান প্রত্যাশা কর্পোরেশনের (মিলটুরুকলার) আইডি থেকে।ভিডিওটি দেখান কবির হোসেন এবং দেলোয়ার খাঁন পলক তার ফোন নং ০১৭৩৬৮৪৩৪১-০১৯১৯২০৩৪৬০, এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। অনেক কথার একপর্যায়ে তারা আশ্বস্ত করে বলে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা।আমি লজ্জার ভয়ে এক পর্যায়ে দিতে রাজি হয়ে পরিশোধ করি। কয়েকদিন পর আবার বার বার ফোন দিয়ে আরো মোটা অংকের টাকা দাবি করেন এবং বিভিন্ন লোকজন এবং সাংবাদিকদের দিয়ে ফোন করান বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের ভয় ভীতি দেখাতে থাকেন এমতাবস্থায় গত ১৬ /০১ ২৫ ইং আমি নিরুপায় হয়ে শের -ই বাংলানগর থানায় আমার নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারন ডায়েরি করি।
উল্লেখ ইতি পূর্বে শাহনাজ পারভীন কয়েকজন গাড়িচালক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, বর্তমানে এলপিআরে আছেন, একজন তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলীদেরকে ব্লাকমেলিং করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।
তার কাছ থেকে রক্ষা পাননি কিছু ঠিকাদারও। শাহনাজ পারভীন একজন বাজে প্রকৃতির নারী আমাকে তার ছেলেকে দেশের বাহিরে পাঠাবে মর্মে পরামর্শ করতে কয়েক বার যোগাযোগ করে তার বাসায় ডেকে আমার সঙ্গে ব্লাকমেলিং করা শুরু করেন।আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চেয়ে বসে, আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকেন। এবং গোপনে আমার ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিং শুরু করেন। এখন ছবি তুলে অর্থ আদায় করাই তার এখন একমাত্র উদ্দেশ্য।
শাহানাজ পারভীনের সাবেক স্বামী শামসুল হক ৩৬১/ক উত্তর পীরেরবাগ ৬০ ফিট ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ৪র্থ তলায় বসবাস করেন। তার ব্যবহার এরকম হওয়াতে তাকে ডিভোর্স করছেন বলে এখন আমি জানতে পারছি।
ভুক্তভোগী জনাব হাসানুজ্জামান বলেন এ সকল মেকিং ভিডিও আমাকে হেয় করার জন্য এবং অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে ব্যাবহার করছেন, অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে সমাজের কাছে এবং আমার অফিসের স্যারদের কাছে ছোট করার জন্য করা হয়েছে।
এ সকল ষড়যন্ত্র ও ডিজিটাল ব্লাকমেলিং'র মূল হোতাদের মূল উদ্ঘাটন করে আমি সহ অন্যদেরকে বাঁচাতে জোড় নিবেদন করেন। এবং তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীও জানান।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy