রকসী সিকদারঃ
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ গহিন পাহাড়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে।এই হাতিটির বয়স আনুমানিক ৮-১০ বছর।গত শনিবার ১৮ জানুয়ারি সকালে টেকনাফের হ্নীলা বিটের পাহাড়ি ছড়া থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এবিষয়ে টেকনাফ ও উখিয়ার সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ১৭তারিখ রাতে আমরা খবর পেলেও রাত বেশিহওয়ায় ১৮ তারিখ সকালে আমরা রওনা দিয়ে টেকনাফের হ্নীলা বিটের পাহাড়ি ছড়া থেকে ৮-১০ বছরের একটি বন্য বাচ্চা হাতিকে মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করি।ধারণা করা হচ্ছে হাতির বাচ্চা টি আগে থেকেই দূর্বল ছিলো এবং পাহাড় থেকে ছড়ায় নামতে মনে হয় আঘাত পাই, যার জন্য ছড়া থেকে আর উঠতে পারেনি। তবে শরীরে কোন ইনজুরির দাগ নেই। সুরতহাল করে পাহাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান বাচ্চা হাতির মৃত দেহ দেখে বন বিভাগ কে জানানো হয়।পরে তারা আসে বাচ্চা হাতির মৃত দেহটি সুরতহাল করে।অসাধু কাঠ ব্যবসায়িরা দিন দিন বন উজাড় করে বন কে বিরানভূমি তে পরিনত করছে। বনে এখন বন্য হাতি সহ বন্য প্রাণীর খাবার দিন দিন কমে যাচ্ছে যার কারণে বন্য হাতি সহ বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে এবং এতেই অকাল মৃত্যু হচ্ছে হাতি সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর। উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি টেকনাফের হোয়াইক্যং বিটের হরিখোলা বুরাবুনিয়া নামক স্থানে দলছুট গর্ভবতী বন্যহাতি ১ টি শাবক বাচ্চা প্রসব করে।পরে প্রসবকালীন মা হাতিটি যন্ত্রণা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওইদিন বিকেল ৩ টায় মারা যায়। এদিকে গত ৬ জানুয়ারি বান্দরবানে লামা-চকরিয়া সীমান্তবর্তী লামা এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যুের ২শত ফুট ব্যবধানে মধ্যেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে লামা-চকরিয়া সীমান্তবর্তী বিছইন্যাঘোনা নামক এলাকায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি বন্যহাতি মারা যায়। চলতি মাসে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ২টি সহ ৩টি বন্য হাতির মৃত্যু হয়। এভাবে বন্য হাতি সহ বন্য প্রাণীর মৃত্যু হলেও বন বিভাগের জায়গায় বন থেকে জ্বালানি সহ অসাধু কাঠ ব্যবসায়িদের ব্যবসা থেমে নেই বরং বিভিন্ন জায়গায় অসাধু কাঠ পাচারকারী চক্রের সদস্য ও অসাধু কাঠ ব্যবসায়িদের কে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া যায়।স্থানীয়দের অভিযোগ বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের কখনো দেখা যায় নি বন্য হাতি সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর রক্ষা করতে সাধারণ মানুষের।মাঝে সচেতন করতে। এবিষয়ে মুঠোফোনে বন্যপ্রাণী ও জীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি একটু বিজি আছি ফ্রি হয়ে আপনাকে কল দিচ্ছি এবিষয়ে বন সংরক্ষক,চট্টগ্রাম অঞ্চলের ড.মোল্লা রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।হাতি বনাঞ্চলের বিকাশ ও জীববৈচিত্র্যের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।হাতি বিষ্ঠার মাধ্যমে বীজের বিস্তার ঘটিয়ে নতুন গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে।আমরা বন বিভাগের কর্মকর্তারা সবসময় বন্য হাতি সহ বন্য প্রাণীর বিষয়ে যত্নশীল। বন ভূমিতে যাতে বন্য প্রাণীরা নিরাপদে চলাফেরা, খেলাধুলা,এবং নির্বিঘ্নে যাতে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।বন্য হাতির বিষয়ে সবাইকে যত্নশীল হতে হবে।কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে হাতি গুলো এবিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy