কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র রূপালি ইলিশে সয়লাব: দামে জেলেদের মুখে হাসি
ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার::
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র রূপালি ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। সাগর থেকে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন জেলেরা। চারদিকে শুধু ইলিশ আর ইলিশ। কেউ ইলিশের স্তূপে দিচ্ছেন বরফ। কেউ কেউ ঝুঁড়িতে গুণে গুণে ভরছেন ইলিশ। আবার অনেকেই ব্যস্ত ইলিশের দর-দাম নিয়ে। ইলিশের ভালো দাম পেয়ে খুশি জেলেরা। কিন্তু পর্যাপ্ত শেড না থাকায় খোলা মাঠে রাখতে হচ্ছে ইলিশ।
জেলেরা জানান, অতীতে এত মাছ আর ধরা পড়েনি। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে বড় বড় ইলিশ। দাম ভালোই আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম ভালো। বড় বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রয়েছে দুটি মাছ রাখার শেড। সেখানে জায়গা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে ইলিশ রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ যদি দেশের বাইরে রফতানি হয় তাহলে প্রচুর টাকা আসবে। মাছ ভর্তি করে ট্রলার আসছে সাগর থেকে, তবে মাছ রাখার জায়গা নেই। সূর্যের আলোতে বাইরে রাখা হচ্ছে বাধ্য হয়ে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এহছানুল হক বলেন, এ সমস্যা সমাধানে আরেকটি নতুন শেড করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাগরে মাছ পাওয়াতে ট্রলারে জলদস্যুরা হানা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সদস্য নাছির উদ্দিন বাচ্চু। তিনি বলেন, সাগরে মাছ পাওয়ার কারণে জলদস্যুর তৎপরতা বেড়েছে।
তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তার আহ্বান জানাচ্ছি। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ৫ দিনে অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন মাছ সরবরাহ হয়েছে। যার মধ্যে ইলিশ রয়েছে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy