করোনাটিকায় বাড়ছে আগ্রহ অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর লাইনে তীব্র ক্ষোভ ও অসুতষ্টি
ইমাম হোসেন জীবন ক্রাইম রিপোর্টার
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরের করোনা কালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ টিকা গ্রহনের বড় জংশন হল (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট। করোনাটিকা গ্রহনে বাড়ছে আগ্রহ কিন্তু অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর লাইনে দীর্ঘসময় দাড়িয়ে থাকায়ণ রয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
আজ ১২আগষ্ট সকাল ৬টা হতে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে ৬/৭ ঘন্টা অপেক্ষা করায় গ্রাহকদের মাঝে দেখা যায় অভিযোগ ও আপত্তি।তারপরেও করোনার ভেকসিনের অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গ্রাহকদের টিকা নিতে পারায় সস্থি প্রকাশ।
দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নগরির চট্টগ্রামেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। বাড়ছে মৃত্যু,শংকট সৃষ্টি হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থায়,সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন জায়গাতেই নেই করোনা ব্যাড। এ যেন চরম সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সংক্রমনের মাত্রা কমিয়ে আনতে সরকার অনলাইন রেজিট্রেশন নিবন্ধনসহ নানাবিধ কর্মচূচী ও গণ টিকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তারই লক্ষ্য নিয়ে ভিন্নভিন্ন ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী গ্রাম শহর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে গণ টিকার ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ভিন্নভিন্ন দায়িত্বশীল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
গণ টিকার কার্যক্রমের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা গ্রহণ করতে আসা গ্রাহকদের মাঝে দেখা যায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া অনিয়মের একাধিক অভিযোগ। এবং টিকা প্রত্যাশীদের মাত্রা অতিরিক্ত ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
টিকা প্রত্যাশীরা বলছেন আমরা সকাল ছয়টা থেকে দাঁড়িয়ে থেকে এখনো পর্যন্ত থাকতে পারছি না।বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা বাড়তে থাকে ভোগান্তি।লাইনে দাঁড়ানো কাউকেই দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করলেও অনিয়মের অভিযোগও কম নয়।
কিন্তু লাইনে অপেক্ষমানদের অভিযোগ ও আপত্তি জানিয়ে বলেন গেইটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বেশ কিছু লোকজনকে কোন বিভিন্ন দপ্তরের পরিচয়ে ও একাধিক অদৃশ্য কারণে আগে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।কখনো ভিআইপি বুথের টিকা গ্রহণ,কখোনো ডাক্তার ফ্যামিলি,আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য স্টাফদের নাম অযুহাতে লাইন ছাড়াই টিকা নিচ্ছে সরাসরি।এতে করে সরাসরি লাইনে থাকা টিকা গ্রহন করতে আসা ও লাইনে থাকা সত্বেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অপেক্ষমান লোকদের।
অনেককেই দেখা যায় যে,গতকাল সকাল ৮টায় এসেও টিকা না দিয়ে ফেরত গিয়ে আজকেও ৬ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
টিকা দেয়ার ব্যাপারে স্বজনপ্রীতি কিংবা অন্য পথ অবলম্বন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় টিকা দেওয়ার দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স ইনচার্জ সিনোফার্মের উর্মি,মর্ডানের টিপু রানী দেব,এস্ট্রাজনিকের কল্পনা বেগম ও হুমায়রা সিদ্দিকা সাথে। তারা বলেন এগুলো যারা বলছেন তারা মিথ্যে বলছেন।আমারা সকাল ৯টা হতে কার্যক্রম শুরু করেছি এখন সময় ১টা বাজে ২হাজার টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষ ৪টি ও মহিলা ৩টি ডেক্সে কাজ করছে অত্যান্ত চৌকস,আন্তরিক ও দক্ষতার এখানে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ডিপার্টমেন্ট সহকারী ডাইরেক্টর ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন ও ডাক্তার সুমন
এর সাথে যোগাযোগ কথা বলেন। কিন্তু একাধিকবার দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও তাদের নাম্বারে পাওয়া যায় নি।
লাইনে দাঁড়ানো বিভিন্ন ব্যক্তির অভিযোগ,গেটে দায়িত্বরত প্রশাসনের দায়িত্বে যারা আছেন তারা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত সহকারী পুলিশ কমিশন শহিদুল ইসলাম জানান সকাল থেকে অনবরত আমরা আমাদের দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি আমার জানামতে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির হচ্ছে না।
টিকা গ্রহনের চেয়েও অপেক্ষামান মানুষের লাইন অনেক বেশি তাই এতগুলো মানুষ কন্ট্রোল করা চ্যালেজিং হলেও কঠোর ভাবে শৃঙ্খলা সাথে দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও আমরা আমাদের মতো সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তারপরও যদি কেউ অভিযোগ করে থাকে সেটা তিনি বলেছেন আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কিছুর কিংবা দায়িত্ব অবহেলার হয়নি।
আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সরকার ঘোষিত গণ টিকায় অংশ গ্রহণ করি।জীবন বাঁচাতে যেমন টিকার প্রয়োজন,তেমনি সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধিও সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy