1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
করোনার থাবায় বদলেছে পাহাড়ে ট্যুরিষ্ট গাইডের পেশা 
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ৭ই মার্চ

করোনার থাবায় বদলেছে পাহাড়ে ট্যুরিষ্ট গাইডের পেশা 

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ৭.৩৬ পিএম
  • ১১৩ বার পঠিত
করোনার থাবায় বদলেছে পাহাড়ে ট্যুরিষ্ট গাইডের পেশা
আকাশ মারমা মংসিং বান্দরবানঃ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস। জেলাটি ছোট হলেও বিভিন্ন পেশায় হাজারো মানুষ ভিন্ন ভিন্ন কাজে জড়িত। দুর্গম পাহাড়ে বসবাসরত কিছু সংখ্যক শিক্ষিত যুবক  সারা বছর ট্যুর গাইড করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এই মহামারি করোনা ভাইরাস  পালটে দিয়েছে হাজারও মানুষের জীবন-জীবিকার ধরণ।
বিশ্বে করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে সকল ধরনের পর্যটন বন্ধ করেছে প্রশাসন। এই করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় চরম সংকটের মুখে পড়েছে বান্দরবানে ট্যুরিস্ট গাইডরা। এতে বেকার হয়ে পড়ে তারা, তাদের জীবিকার উৎসে কালো ছায়া নেমে পড়েছে। কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছে ট্যুরিস্ট গাইডের সঙ্গে সম্পৃক্তরা।
চারিদিকে সবুজ পাহাড় ঘেরা পর্যটক খ্যাত নামে পরিচিত ‘পাহাড়ী কণ্যা’ বান্দরবান। কোলাহলমুক্ত বাতাস আর সবুজের চাদরে  ঢাকা  প্রকৃতিকে দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। শুধু শীত এবং বর্ষা নয় সারা বছর জুড়ে বৈচিত্রময় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানে হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটে।
জানা গেছে, বান্দরবান সদরে ভিতরে ও তার কাছাকাছি মেঘলা, নীলাচল, বনপ্রপাত, স্বর্ণমন্দির, রামজাদি, শৈলপ্রপাত, নীলগিরিসহ আরও কিছু দর্শনীয় স্থান অসংখ্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এসব জায়গায় চলাফেরার জন্য গাইডের প্রয়োজন পড়ে না ।
তবে অনেক প্রকৃতি প্রেমীক আছে যারা প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার পাশাপাশি দুর্গমাঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণের জন্য পাড়ি দেই অনেকে। যেখানে আকাঁবাকাঁ মেথো পথ ধরে বয়ে যাওয়া দুর্গম এলাকার পাশাপাশি ট্রাকিং এর জন্য পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান বলে বিবেচিত। প্রশাসনিক অনুমতি আর গাইড ছাড়া দুর্গম পথে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাধ্যগতভাবে গাইড নিয়ে গন্তব্য স্থলে যেতে হয়।
এমনই পেশায় পরিবর্তন কয়েকজন ট্যুরিস্ট গাইডের সঙ্গে প্রতিবেদকে কথা হয়। জর্জ ত্রিপুরা থানচি উপজেলা ট্যুরিষ্ট গাইডের সদস্য (৩০) তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় সাতবছর ধরে ট্যুর গাইড করে আসছি। সারা বছর জুড়ে ট্যুর গাইড করে আমার পরিবার চলে। বন্ধ হয়ে মাসখানিক বেকার ছিলাম। বর্তমানে কোনরকম দিনমজুরি করে সংসারে হাল ধরতে হচ্ছে।
আরেক রোয়াংছড়ি উপজেলা ট্যুরিষ্ট গাইডের সদস্য মনুংপ্রু মারমা (৩২) বলেন, করোনার কারণে পর্যটন স্পট বন্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়েছে এই পেশা ছাড়তে। ট্যুরিস্ট গাইড ছেড়ে অন্যের মালিকানাধীন ভাড়ায় চালিত  মটর সাইকেল যাত্রী পরিবহন কাজে কয়েকদিন নেমে পড়েছিলাম। সেটাও লকডাউনের জন্য সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। বর্তমানে দুর্দিন চলছে।
থানচি উপজেলা পর্যটক গাইড সমিতির সভাপতি মেনুয়েল ত্রিপুরা (৫৫) বলেন, এই উপজেলার অন্তর্গত সাকা হাফং, নাফাখুম, তিন্দু, বড় পাথর, শেষ সীমান্ত লেক্রি ইত্যাদি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলায় ট্যুরিস্ট গাইডের কর্মরত একশ জনের অধিক সদস্য রয়েছে। এই খাত থেকে প্রত্যেকের প্রতি মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হতো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে সবাই বেকার হয়ে পড়েন। নিরূপায় হয়ে দুই মুঠো অন্ন যোগাতে আজ সমিতি সদস্যরা অন্য পেশায় যোগদান করেছে।
এ ব্যাপারে রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চ হাই মং মারমা জানান, করোনা মহামারির কারণে সকল পর্যটন স্পট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যারা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ট্যুরিস্ট গাইড করত তাদের অবস্থা বেহাল। এই ক্রান্তিকালে সরকারিভাবে তাদের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই। তবে তারা যদি আবেদনের মাধ্যমে সহযোগিতা চায় তাহলে উপজেলার পক্ষ হতে সহায়তা প্রদান করা হবে।
তাছাড়া ট্যুরিষ্ট গাইডদের অনেক অবদান রয়েছে। তাদের মাধ্যমে পর্যটন স্পট নিয়ন্ত্রণসহ পর্যটকদের নিরাপত্তা একমাত্র বাহন বলেও ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews