জবি প্রতিনিধিঃ
লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে অক্টোবর জুড়ে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছে। এই সেবামূলক কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া পার্কে ৬০ জন দিনমজুর ও বৃদ্ধদের বিনামূল্যে রক্ত পরিক্ষা, ডায়াবেটিস পরিক্ষা, ওজন মাপা, প্রাথমিক ঔষধ বিতরণ ও বাচ্চাদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। স্থায়ীভাবে একটি স্কুল উদ্ভোদন করা হয়। যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের ৩টি করে খাতা, কলম, ইরেজার, বই, শার্পনার, গেঞ্জি বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। প্রত্যেক সপ্তাহে দুদিন সেখানে ক্লাস নেওয়া হবে এবং খাবার প্রদান করা হবে।
প্রথম দিন ক্লাস পরিচালনা করেন জবি লিও ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকী। উক্ত স্কুলের উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাইয়ন্স ৩১৫এ-১ জেলা গভর্নর লায়ন নজরুল ইসলাম সিকদার, প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর নিখিল চন্দ্র গুহ, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তুফা কামাল, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন খুরশিদ তরিকুল ইসলাম মাসুম, লায়ন্স ক্লাব অব ওয়ান প্লাস এর সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, মাল্টিপল লিও ডিস্ট্রিকের সহ-সভাপতি সুজন মিয়া, লিও জনি আকন্দ, লিও রায়হান, লিও চৈতি, লিও অমিত পাল, লিও নয়ন সহ আরও অনেক লাইয়ন্স ও লিও নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে লায়ন নিখিল চন্দ্র গুহ বলেন, লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম অক্টোবরে শুরু হয়েছিল তাই আমরা এ মাসের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এ বছর আমাদের জেলা ৩১৫এ১ অক্টোবর সেবা কার্যক্রমে যে সমস্ত পোগ্রাম হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সফল ও কার্যকরী পোগ্রাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিও ক্লাব করেছে বলে আমি মনে করি।
ইঞ্জিনিয়ার মোস্তুফা কামাল বলেন, শিক্ষা জাতির মেরেদন্ড। একটা দেশ কতটা উন্নত, তা নির্ভর করে সে দেশ কতটা শিক্ষিত। কারণ যার মধ্যে শিক্ষার আলো নাই, তারমধ্যে মূল্যবোধ এবং ভালমন্দের হিতাহিত জ্ঞান নাই। তাই দেশের মানুষের নুন্যতম জীবন ধারনের চাহিদা পূরণ করে তাদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আজকে লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ডায়বেটিস শনাক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, গামছা বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ইত্যাদি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে জবি লিও ক্লাব তার এমন মহৎ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং তাদের সকল ভালো কাজের পাশে আমাদের সর্বদা পাশে পাবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকী বলেন, লিও ক্লাবের প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। যেহেতু লিও ক্লাব একটি আন্তর্জাতিক সেবামুলক সংগঠন, তাই আমার প্রত্যাশা থাকবে মানুষের পাশে দাড়ানোর, মানুষকে সাহায্য করার মনমানসিকতা আছে এমন সদস্যদের নিয়ে ক্লাব সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির ক্লাব সেক্রেটারি মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ বলেন, লিও ক্লাবের সাথে কাজ করা ছিল আমার স্বপ্ন। আমি চাই সমাজকে নতুন কিছু উপহার দিতে। আমাদের দেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের তরুণরা স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসছে। তরুণরাই পারে সমাজকে বদলে দিতে। লিও ক্লাব অব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তরুণরা যুক্ত হয়ে ক্লাবকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটাই প্রত্যাশা।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..