ময়মনসিংহ (নান্দাইল) প্রতিনিধি
এভাবেই কথা গুলো বলছিল মধ্যে বয়স্ক প্রতিবন্ধী হারুন অর রশিদ।তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আচারগাওঁ
ইউনিয়নে, সে এই ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের মৃত মুতালেবের পুত্র।
হারুন জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী প্রায় একযুগ পূর্বে কাজের সন্ধানে স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিল গাজিপুরে। সেখানেই একটি বাড়া বাসায় বসবাস করতো পরিবার পরিজন নিয়ে,,গাজিপুরে থাকাকালিন সময়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তানের নাম জোনাইদ, সে রাজেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র । স্ত্রী রান্নার কাজ করতো ছাত্র ম্যাচে। সে একহাত নিয়েই সল্প বেতনে সে করতো বাসের হেলপারি। দুজনের আয় দিয়ে মুটামুটি ভাবে চলে যেত তাদের সংসার। করোনা প্রাদূর্ভাব শুরুর পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছাত্র ম্যাচ গুলোও বন্ধ হয়ে যায়। গণপরিবহন ঠিকমত না চলায় প্রতিবন্ধী হিসেবে কাজ জুটেনি হারুনের কপালে। অবশেষে বাধ্য হয়ে চার মাস পূর্বে চলে আসে পৈতৃক ভিটায়। বাড়িতে এসেও ঘটে আরেক বিপত্তি, পিতার রেখে যাওয়া তিন শতাংশ জমি থাকলেও নেই কোন ঘর। হতদরিদ্র বড়ভাই সুনু মিয়ার ঘরে আশ্রয় নিয়ে গাদাগাদি করে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করে আসছে। একটি ঘরনির্মাণ করা নির্মাণ তো দূরের কথা ঠিকমত খেতেই পায়না পরিবারটি। তার ভাই সুনু মিয়া বলেন, আমার ভাইটি জন্ম থাইকা প্রতিবন্ধী, তার থাহার একটা ঘর নাই ,প্রতিবন্ধী কাড নাই , এই অসময়ে কিচ্ছু পাইছেনা । আমারও ছয়ডা পোলাপান ভাঙ্গাচুড়া ঘর কোনমতে দিন কাডাই। কোন কিচ্ছু পাইনা। জনপ্রতিনিধিদর কাছে গেলেও জুটেনি কোন সহযোগিতা। এবিষয়ে মন্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিক বার ফোন দিয়েও সংযোগ করা সম্ভব হয়নি। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদ উদ্দীন জানান,, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পরিবারটিকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। সরকারি ভাবে যাতে একটি ঘর পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply