তফিকুল ইসলাম(কালাই)প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়েই কোভিড-১৯ টিকাদান কাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে একজন এমপিইপিআই এর বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় কোন নৈতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৩০ এপ্রিল শাহিনুর রহমান নামে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন এমপিইপিআই এর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার ১৪ দিনের জন্য তার বাড়ি লকডাউন করেন। কিন্তু তা সত্বেও ওই এমপিইপিআই গত ২,৩ এবং ৪ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকাদান কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে এমপিইপিআই শাহিনুর রহমান জানান, গত ৩০ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে ইউএনও টুকটুক তালুকদার ১৪ দিনের জন্য তার বাড়ি লকডাউন করেন। তবে করোনার সেম্পল দেয়ার জন্য ৫মে, বুধবার তিনি নিজের মোটরসাইকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। বাকি দিন কোভিড-১৯ টিকাদান কাজে নিয়োজিত নাস্র্দের তিনি প্রতিদিনের টিকা (ভ্যাকসিন) সরবরাহ করেন এবং এ কাজ শেষে তালিকাসহ অবশিষ্ট টিকা নার্সদের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন রেজা জানান, গত ৩০ এপ্রিল এমপিইপিআই শাহিনুর রহমানের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এ কথা ঠিক। কিন্তু তিনি শাহিনুর রহমানকে টিকাদান কাজে সম্পৃক্ত থাকতে দেখেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম তানভীর হোসেন জানান, এমপিইপিআই শাহিনুর রহমান নয় বরং কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়ার জন্য তিনজন নার্স আছে। তারাই টিকা দেন। ৫মে, বুধবার করোনার সেম্পল দেয়ার জন্য তিনি হাসপাতালে আসেন। এমপিইপিআই শাহিনুর রহমান গত ২,৩ এবং ৪ তারিখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন; এতে এলাকায় করোনার কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এটিএম তানভীর হোসেন জানান এর ফলে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বেনা।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, এমপিইপিআই শাহিনুর রহমানের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার খবর পেয়ে ৩০ এপ্রিল তারিখেই ১৪ দিনের জন্য তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। তা সত্বেও তিনি কেন লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, তা মোবাইলের মাধ্যমে তার কাছ থেকে জানা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..