ফখরুল আলম, কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর আনন্দ মুখর ভাবে খাল দখল চলছে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে সরকারী খাল দখল করছে
ক্ষমতাসীনদলের প্রভাবশালীরা সাথে আঁতাত করে ভাড়ানি খালের দুই পাশে অবৈধভাবে স্থায়ী স্থাপনা তোলার মহোৎসব চলছে।
এতে জনসাধারনের চলাচলের ব্যাঘাত ও নব্যতা সংকটে পরছে খালটি, হারিয়ে যাচ্ছে খালের প্রকৃত রুপ।
অতিদ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উৎখাতের দাবী স্থানীয়দের। সরেজমিনের গিয়ে জানা যায়, ধানখালী ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় সোমবারের বাজার নামে পরিচিত হাটটির পাশ দিয়ে ফুলতলি বাজার পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ভাড়ানি খাল নামে সরকারী খালের দু-পাশে একাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার, কোডেক বাজার ও ফুলতলি বাজারের দু-পাশে পুরানো দোকান ঘড়ের পাশাপাশি নতুন করে বিল্ডিং ঘড় তোলার দৃশ্যও চোখে পরছে অহরহ। অথচ এসব অবৈধ দোকান ঘড় তোলায় নব্যতা সংকটের কারনে হুমকীর মুখে পরছে খালের পানি প্রবাহ। ফলে কৃষিকাজে পানির সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভূগছে সাধারন মানুষ। খাল হারাচ্ছে তার প্রকৃত সৌন্দর্য ও যৌবনত্ত্ব। সোমবাড়িয়া বাজারের রিয়াজ গাজী, দুলাল জমাদ্দার, জহিরুল মিয়া, কোডেক বাজারের সাত্তার খাঁন ও ফুলতলী বাজারের মাসুম ঢালীসহ একাধীক লোক স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে এ ঘড়গুলো তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে যে যার মত খাল দখল করে দোকান ঘড় তুলছে। এগুলো দেখার যেনো কেউ নেই তাই আমরা কিছুই বলতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে এ খালটি এক সময় হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, খালের অবৈধ স্থাপনা উৎছেদে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবে বলে স্থানীয়রা প্রত্যাশা করেন। এবিষয়ে খাল দখল করে দোকান ঘড় তোলার মালিক রিয়াজ গাজী ও সাত্তার খাঁনের ছেলে মাসুম খাঁনের সাথে কথা হলে অবৈধ দখলের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। তাদের মতে, আমরা সরকারী জমিতে ঘড় তুলিনি, আমাদের রেকর্ডীয় সম্মত্তিতে ঘড় তুলছি। আমাদের কাছে সকল ধরনের কাগজ-পত্র রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, খাল দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। ওখানকার তফসিলদারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।