মমিন আজাদ:
ওষুধের মতো কসমেটিকস উৎপাদনেও লাইসেন্স নিতে হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে ওষুধ ও কসমেটিক আইন ২০২৩-এ। আর নকল বা ভেজাল কসমেটিকস তৈরি করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ কসমেটিকস নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ।
নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে সয়লাব বাজার। সারা দেশেই যে যার মতো তৈরি করছে কসমেটিকস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দীন আহমেদ জানান, রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর ও পুরান ঢাকায় অসংখ্য কারখানায় তৈরি হচ্ছে কসমেটিকস। সবচেয়ে বিপদের কথা, নামিদামি ব্র্যান্ডের কসমেটিকস নকল হয়ে যাচ্ছে ভোক্তার হাতে। বার বার অভিযান চালিয়েও বন্ধ করা যায়নি তাদের দৌরাত্ম্য। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিষয়টিকে আমলে নিয়ে সংশোধিত ওষুধ আইনে যুক্ত করা হয়েছে কসমেটিকস উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণ। নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। আর যে সব প্রতিষ্ঠান কসমেটিকস উৎপাদন করছে, তাদেরকেও লাইসেন্স নিতে হবে ৬ মাসের মধ্যে। কসমেটিকসের জন্য এত দিন কোনো আইন বা অধ্যাদেশ ছিল না।
আগামি সংসদ অধিবেশনেই পাস হতে পারে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩। এরই মধ্যে তা অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভায়।