রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কাঁদা-পানিতে একাকার পল্লী বিদ্যুৎ সড়ক। উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। মাত্র ৪০০ মিটারের রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তাদের দুর্ভোগ কাটেনি। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। প্রায়ই গর্তে আটকে যায় যানবাহন। ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রোগী অথবা গর্ভবর্তী নারীকে নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভোগান্তির শেষ থাকে না। সরেজমিনে দেখা যায়, এই রাস্তার দুপাশে দুটি কিন্ডারগার্টেন, চারটি কোচিং সেন্টার, তিনটি এনজিও, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তার চেম্বারসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শতশত মানুষ যাতায়াত করে। এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ সড়ক পানিতে ডুবে যায়। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করা দরকার। এদিকে সড়কটি নিয়ে উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে দৃশ্যত বিরোধ চলায় সড়কটির সংস্কার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী এজেডএম আহসানউল্লাহ বলেন, রাস্তাটি কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদ থেকে মেরামত করা হয়েছে। আর যেহেতু সড়কটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটারের কম সেহেতু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী আমরা করতে পারি না। অন্যদিকে রংপুর জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, সড়ক মেরামত কাজের জন্য জেলা পরিষদে কোনো ফান্ড দেয়া হয় না। এটি এলজিইডি করবে। তা না হলে এলাকার যে কোনো জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। তারপর বিষয়টি দেখা হবে। ভুক্তভোগীদের দাবি এ সমস্যা আশু সমাধান করে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy