ইমাম হোসেন জীবন,
হাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। শুধু মাত্র তার এলাকায় নয় সুবিশাল বোয়ালখালী উপজেলাতেও তাকে বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসেবে নাসির হাজী নামে সু-পরিচিত।
জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি প্রবাসে পার করেন। এসময় তিনি তার উপার্জিত অর্থের হিংস ভাগ তার এলাকার গরিব দুস্তদের কল্যানে ব্যয় করেন। এতেই তার সুপরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
দীর্ঘ প্রবাস জীবন পারকরার পর তিনি আসেন তার নিজ এলাকা বোয়ালখালী উপজেলার, সি-অফিস, ৬নং ওয়ার্ড মীর পাড়ায়।
এলাকায় এসে তিনি হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে। দেখতে দেখতে চলে আসে পৌরসভা নির্বাচন। এসময় তিনি প্রবাস ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এলাকার সর্বস্তরেরজনগণ ও আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের বাধার মুখে পড়েন তিনি।
সকলের দাবী তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতেই হবে। এক পর্যায়ে সকলের দাবীর প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পত্র কিনে ডালিম মার্কা মনোনিতও হন তিনি।এতেই শুরু হয় বিপত্তির।
এলাকায় জনপ্রিয়তা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাথা ব্যথার প্রধানকারন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ভোটের মাঠে হারের আভাস থেকেই নীল ছককসেন অপরাজনীতির।
এরই সূত্রে গেল কিছুদিন আগে নিবন্ধনহীন ও নাম সর্বস্ব কয়েকটি অনলাইন চ্যানেলে ২০১১ সালের একটি জমি সংক্রান্ত নাসির হাজীকে পৃষ্টপোষক উল্লেখ করে কয়েকটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে বিতর্কের সৃষ্টি করে।এতে নিন্দার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে।
এই সংবাদটির বিষয়ে নাসির হাজী দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, তাঁর বিষয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান রত ছিলেন এই জমিটির বিষয়ে কোন তথ্য জানেন না। তিনি বলেন, তিনি দেশে আসার পর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর একটি মহল তার সু পরিচিত ও জনপ্রিয়তা ক্ষুন্য করার উদ্দেশ্যই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রবাসী কামালের স্ত্রী, মামলার বাদী ইকবাল বিবাদী আতিকুল ইসলাম গংদের কোনদিন দেখেন নি পর্যন্ত।
তার কথার ভিক্তিতে আমরা কথা বলি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্যদেওয়া প্রবাসী কামালের স্ত্রীর সাথে এ নাসির হাজীর পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগের বিষয়ে কথা বল্লে তিনি জানান,জায়গার মালিক দাবীকারী আতিকুল ইসলাম জায়গাটিতে সিমানা প্রাচীর নির্মান করতে আসলে নাসির হাজীর লোকজন তাদের সহায়তা করে তাকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন কিন্তু এই অভিযোগের সুস্পষ্ট কোন প্রমান দিতে পারেননি আমাদের।নাসির হাজী নিজে তাকে কোন প্রকারে প্রভাবিত করেছিল কিনা প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয়ে কেন কথা বলতে রাজি হন নি।তিনি তার বক্তব্যে বলেন তিনি জমিটির ওয়ারিস সূত্রে মালিকানা দাবী কারী ইকবাল থেকে তিনি ততকালীন ১৭ লক্ষ টাকায় কেনার উদ্দেশ্যে ৭ লক্ষ টাকা বায়না করেন বলে জানান তিনি।
মামলার বাদী ইকবাল তার সাক্ষাতকারে তিনি নিজেকে ওয়ারীস সূত্রে এই জায়গার মালিক দাবী করে বলেন মনোয়ারা বেগম তাকে তার প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে না দিয়েই মামলার বিবাদী আতিকুল ইসলামের নিকট বিক্রি করে দেন তাই তিনি আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কিন্তু এই ঘটনাটিতে নাসির হাজীর কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন নাসির হাজী কোন ভাবেই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নন, কোন একটি মহল বিশেষ সুবিধা হাসিলের উদ্দেশ্যে তার নাম এখানে জাড়িয়ে তার সম্মানহানী করতে চাইছেন।
মামলার বিবাদী, আতিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার পর পরিষ্কার হয় সকল রহস্যের জাল, তিনি আমাদের জানান, সকল সঠিক কাগজ পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে ২০১১ সালে জায়গার মালিক মনেয়ারা বেগমের নিকট হতে জায়গাটি খরিদ করেন। পরবর্তীতে সেখানে নিরাপত্তার খাতিরে তিনি কাটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলেন।
হটাৎ ইকবাল নামক এক ব্যাক্তি নিজেকে জায়গার ওয়ারীস দাবী করে একটি মামলা দায়ের করেন পরবর্তীতে ২০২১ সালের জানুুয়ারীতে আদালত বিবাদীর পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এর পর তিনি জানতে পারেন বাদী ইকবাল মামলা চলাকালীন সময় প্রবাসী কামালের নিকট সেই জায়গাটির ৭ লক্ষ টাকা বায়না করেন।
কিছুদিন আগে তিনি জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে প্রবাসী কামালের স্ত্রী সেখানে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তার কর্মচারীদের ধাওয়া করলে বোয়ালখালী থানা পুলিশ এসে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।এই ঘটনায় তাকে নাসির হাজীর সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
এই ঘটনায় নাছির হাজি কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয়, এবং কি তিনি এই বিষয়ে কোনদিন নাছির হাজীর দৃষ্টি আকর্ষণও করেন নি। তিনি বলেন যেহেতু তিনি পৌরসভা নির্বাচন করতে চলেছেন হয়তো কোন একটি মহল এই ঘটনায় তাকে সম্পৃক্ত করে তার ইমেজ খারাপ করতে চাইছেন।
তাহলে এখানে একটি প্রশ্ন উঠে আসে, কেন প্রবাসী কামালের স্ত্রী এই ঘটনায় নাছির হাজির নাম জড়ালো? কে ইবা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষাতকার দিল গণমাধ্যম গুলোতে, কাদের প্ররোচনায় গনমাধ্যমগুলো এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করলো?
এ বিষয়ে নাসির হাজী আমাদের বলেন, আমি জনগনের ইচ্ছায় মনোনয়ন নিয়েছি, যারা আমার এই জনপ্রিয়তা সহ্য করতে পারছেন না তারাই এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের সাথে জড়িত।
তার মতে ভোটের মাঠে তাকে হারাতে পারবেন না ভেবেই তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই অপ রাজনীতি শুরু করেছন।ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে একটি মহল ১২/১৩ টি মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা করে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ও নানা মুখি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তে প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।