তৌহিদুল ইসলাম সরকার:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রক্তকয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও অন্তত পক্ষে  ৩৫ জন আহত হয়েছে।আহত দের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অতর্কিত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ সংঘর্ষের পরিস্থিতির শিকার গুলিবিদ্ধরা হচ্ছে, উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২১), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)। অপরদিকে গুরুত্বর আহতরা হলেন- চরফকিরা ইউনিয়নের মো.কাঞ্চন (৫৫),  মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (২৯), চর ফকিরা ইউনিযনের মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৩৮), চর ফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৩), মারুফ (২৫)।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ ৩ জনসহ গুরুত্বর আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা ১৮ফেব্রুয়ারি(বৃহস্পতিবার) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে  ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং দু-পক্ষই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।