
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময় সদস্যদের বাঁধার মুখে ফেলে যেতে হয় সেলিনা আকতারকে।
১৮ মার্চ দুপুরে চন্দনাইশ পৌরসভার পুরাতন ভবনে চন্দনাইশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময় সদস্যদের বাঁধার মুখে ফেলে গেলেন সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতার।
সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেলকে মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হয়। সোহেল জানান, ২০১০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর স্থানীয় ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহয়তায় সংগঠনটি এগিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্ত সেলিনা আকতারের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে গত ২০২০ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর কোন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্তের কারণে গত ১৪ মার্চ কার্যালয় ছেড়ে দিতে বলেন। ফলে সদস্যরা
উপজেলা সদরে একটি কার্যালয় ভাড়া নেন। সংবাদ পেয়ে সেলিনা আকতার ১৮ মার্চ দুপুরে কার্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে সরঞ্জাম ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা বাঁধা প্রদান করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেলিনাকে প্রতিবন্ধীদের সরঞ্জাম নিতে বাঁধা প্রদান করে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে টেলিফোনে বিষয়টি জানান। তার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার পরামর্শ দিয়ে সরঞ্জামগুলো রেখে দেন পুরাতন কার্যালয়ে। সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৪টি দরজা, ৫ সেট কাপ-প্লেট, ৫টি রোগীর টেবিল, একটি নাস্তার টেবিল, গ্যাস সিলিন্ডার, গাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, টেবিল প্যান, সেক্রেটারী টেবিল, চেয়ার,
প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, স্টীলের আলমারী, প্রতিবন্ধীদের সাইকেল, টাক্সন মেশিন, স্ট্যান্ড, ব্যাথার থেরাপি মেশিন, রোগীর ব্যাডসহ ২৮টি সরঞ্জাম। এ ব্যাপারে সেলিনা আকতার বলেছেন, পৌর মেয়র ১৪ মার্চের মধ্যে মালমাল সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছেন। তাই তিনি তার বাড়ির পাশে বাগিচাহাট এলাকায় অফিস নিয়ে সরঞ্জামগুলো নিয়ে যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্ত আছে বললেও বাস্তবে কোন কমিটি নেই। তাছাড়া কার্যালয়ের দরজা ভাঙ্গার ব্যাপারে তিনি দরজা নিয়ে যাচ্ছিল বলে জানান। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাজসেবা কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঞ্জুর আলম ও সোহেলকে সংস্থার সরঞ্জাম লিখিতভাবে বুঝিয়ে দেন বলে তিনি জানান। এদিকে পৌরসভার মেয়র
মাহাবুবুল আলম খোকা বলেছেন, ঘরের দরজা ভেঙ্গে মালামাল নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। যদি দরজা ভেঙ্গে থাকেন তাহলে তিনি আইন পরিপন্থি কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা রিজুয়ান উদ্দিন বলেছেন, পুলিশ ফোন করলে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য আগামী সপ্তাহে চন্দনাইশ এসে তারিখ নির্ধারণ করে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply