সেলিম সম্রাট,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ সারথী পীযুষ কিডনীজনিত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গত আট বছরে সহায়-সম্বল সবকিছু শেষ করেছে তার পরিবার। সুস্থ না হওয়ায় অতি ব্যয়বহুল অপারেশনের অর্থাভাবে থমকে আছে সুচিকিৎসা। বাঁচার আকুতি নিয়ে সকলের সহযোগিতা চাইছেন ওই শিক্ষার্থী।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া দেউতিরহাট গ্রামের বাসিন্দা মৃত. ভবেশ চন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় ছেলে পার্থ সারথী পীযুষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মেধাবী শিক্ষার্থী পার্থ গত আট বছর আগে আক্রান্ত হন কিডনীজনিত রোগে। পরিবারের পক্ষথেকে চিকিৎসার ব্যয় আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। পিতার যা সম্পত্তি পারিবারিক সুত্রে পেয়েছিলেন তাও প্রায় শেষ। বাড়িভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই ছেলেকে বাঁচাতে সবি বিক্রি করেছেন মা লাভলী রানী জানালেন এলাকার ভবতোষ মোহন্ত।
দেউতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরা লাল রায় ইষর বলেন, পার্থ ছোট বেলা থেকেই মেধাবী, কোন ক্লাসে তার দুই রোল ছিলো না বরাবরেই ছিলো তার এক রোল। মেধাবী এই ছেলের জন্য আমাদের কষ্ট হয়। পার্থ সারথী পীযুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা.মোবাশ্বের আলমের কাছে। দেশে ও বিদেশে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। ডা. মোবাশ্বের আলম পার্থর পরিবার কে জানিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। প্রতিস্থাপন করে অপারেশনের মাধ্যমে তাকে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। পরিবারের একমাত্র শিক্ষিত যুবক পার্থকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন তার বিধবা মা লাভলী রানী।
পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, পার্থর বাবা খুবিই ভালমানুষ ছিলেন । পার্থকে ছোট বেলা থেকে চিনি ও জানি সে খুবিই ভদ্র ও মেধাবী ছেলে পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয় আর চিকিৎসা করানো আমি আমার পক্ষ থেকে সাহায্য করেছি এখনো করছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবানরা যদি চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসতেন তাহলেই হয়তো বাঁচানো যেত পার্থকে।
শিক্ষার্থী পার্থ সারথী পীযুষের ভাইয়ের বিকাশ একাউন্ট নম্বর: ০১৭৮৬৮০০৬৮৮,০১৫৩৭০৭৮২২৬ (পারসোনাল)।
ব্যাংক এশিয়া -১০৮৩৩৫২০০০১৭১