নাদিম হোসেন খাঁন,চরফ্যাশনপ্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের স্লুইসগেট না থাকায় টানা বর্ষণ এবং মেঘনা, তেতুলিয়ার জোয়ারে পানিবন্দী হাজারো গ্রাম। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শতশত খেটে খাওয়া মানুষ ৷ এছাড়া পাতিলার চর ও ঢালচরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলগুলোয় গবাদি পশু, মাছের ঘের, সবজির খামারসহ খাল বিল জলাশয়গুলোও ডুবে গেছে। চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতেও ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
জানা গেছে, ঢালচর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ না থাকায় পানিবন্দী হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা। উজানের ঢেউয়ে ধারাবাহিক ভাঙনে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে অসহায় জেলে পল্লী ঢালচর ইউনিয়ন। কুকরি মুকরি ইউনিয়নে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর সঙ্গে বেড়িবাঁধের সংযুক্ত খালে ১০টি স্লুইসগেট নির্মাণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা নির্মাণ হয়নি।
নদী ভাঙনে তারা সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব।
বেড়িবাঁধের ওই ১০টি পয়েন্ট দিয়েই এখন খুব সহজে বৃষ্টির পানি ও উজানের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে পুরো কুকরি মুকরি ইউনিয়ন। আর টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়েছে অধিকাংশ সড়ক, ফসলি জমি এবং মাছের ঘেরসহ কৃষকের সবজি খামার। অতি বৃষ্টি ও বন্যার ফলে চরাঞ্চলগুলোয় মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা এখন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। কুকরি-মুকরিসহ অন্যান্য চরাঞ্চলগুলোতে টেকসই বেড়িবাঁধের পাশাপাশি দ্রুত স্লুইসগেট নির্মাণ করতে স্থানীয়রা দাবি জানান।
কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, বেড়িবাঁধের উপর স্লুইসগেট নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। জোয়ারের পানির বন্দীদশা থেকে কুকরি মুকরি ইউনিয়নের মানুষকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধের উপর স্লুইসগেট নির্মাণ করা খুবই জরুরি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..