তীব্র শৈত্য প্রবাহের ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সেই সঙ্গে দেখা মিলছে না সূর্যের। অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও কনকনে হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষজন।প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট ও বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা। খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের। অতিরিক্ত ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে গবাদিপশু।
ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার বোরো চাষিরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় চাষিরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে পুরো জেলাজুড়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা ফেব্রুয়ারি মাসের চার তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা সামান্য ওঠা-নামা করলেও আগামী চারদিন পর্যন্ত তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা থাকবে।
তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আকাশ মেঘলা ছিলো। পরে দুই দিনের অব্যাহত বাতাসে সেই মেঘ সরে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে।