কুড়িগ্রামে পিছিয়ে পড়া জনপদের একটি অবহেলিত ট্রেন !
রেখা মনি,রংপুর
Facebook Twitter share
মঙ্গা পীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষের একমাত্র সহায় ছিলো একসময় রমনা লোকাল ট্রেনটি।
এটি পার্বর্তীপুর থেকে ভোর চারটায় রওনা হয়ে তিস্তা জংশন হয়ে কুড়িগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনপদ চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত চলাচলকৃত অনিয়মিত একটি ট্রেন এবং চিলমারী হইতে তিস্তা আবার তিস্তা থেকে রমনা হয়ে পুনরায় ট্রেনটি পার্বর্তীপুর এর উদ্দেশ্য চলে যেতো।
Surjodoy.com
ট্রেনটিতে স্বল্পটাকায় গরিব মানুষেরা চলাচল করতো। অনেকে পরিবার নিয়ে হেলেদুলে চলতো দুরদুরান্তের স্বজনদের বাসায়।
কারন গরিব অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র অবলম্বন ছিলো ট্রেনটা।
The Daily surjodoy
ছাত্রজীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার এই ট্রেনটার সাথে। ট্রেনটিতে করে স্বল্প টাকায় মালামাল পরিবহন করা যেতো। হুম যেতো ট্রেনটি এখন আর নেই।
ধুঁকে ধুঁকে খুড়িয়ে চলা ট্রেনটা বন্ধ করে দেয়া হল করোনার প্রথম প্রকোপ এর সময়।
তারপর যখন সব ট্রেন ধীরে ধীরে চালু হলো
তখন দেখা গেলো রমনা লোকালের কথা কেউ বলেনা।
The Daily surjodoy
রেল ডিভিশন এ যোগাযোগ করা হলে জানালো ইঞ্জিন সংকট। রহস্যজনকভাবে ইঞ্জিন উধাও রমনা লোকালে কেউ জানেনা কই গেলো রমনা লোকাল এর ২৪ সিরিজের সেই লোকোমোটিভটা।
এরপর বছর পেরিয়ে আবার ট্রেন বন্ধ হলো
এবং পর্যায়ক্রমে কিছু ট্রেন চালুও হলো। নাম নেই রমনা লোকালের। রেকটা পড়ে আছে পার্বর্তীপুর জংশন এর এক কোনায়, অবহেলায়।
The Daily surjodoy
গিয়েছিলাম খোজ নিতে আমার রমনা লোকাল কি বেঁচে আছে? কতৃপক্ষ শুধুমাত্র আশার বাণী দিয়েছে। কিন্তু লোকোমোটিভ ছাড়া ট্রেন চালাবো কিভাবে? এর সাথে এখন যোগ হয়েছে জনবল সংকট !
The Daily surjodoy
দিনদিন নতুন ট্রেন আসতেছেকিন্তু জনবল কমতেছে রেলের। আবার জনবল কমলে চুরি চামারি কমার কথা, কিন্তু বছর শেষে হাজার কোটি টাকার লসের হিসাব তো এখন লক্ষ কোটিতে পৌছাচ্ছে।
আমার গরিবের বাহনটাকেও কি ভাগবাটোয়ারা করেছেন মহামান্য কর্তৃপক্ষ?
গতকাল চিফ ইন্জিনিয়ার রাজশাহী, ডিআরএম লালমনিরহাটসহ অত্র ডিভিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন সংস্কার কাজের জন্য প্রস্তুতি সফর হিসাবে তিস্তা-রমনাবাজার সেকশন পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসীর পক্ষ হতে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধ হয়ে থাকা রমনা লোকাল , কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালুসহ অন্যান্য দাবী দাওয়া সম্বলিত আবেদন পত্র ডিআরএম মহোদয়ের হাতে তুলে দেয়া হয় ।
ওনারা আমাদের দাবীর সাথে সংহতি জানান।
ইতিমধ্যে বেশকয়েকবার তারা অবশ্য সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু ফেরার পথে ভুলেও গেছেন।
টীম_কুড়িগ্রাম_এক্সপ্রেস অতিদ্রুত গরিবের বাহন দেশ সেরা রমনা লোকাল চালুর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম-রমনা সেকশনের কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সেই সাথে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এর সাথে রমনা লোকাল কে চালু করে এটির ২য় ফেজ (৪১৫/৪১৬) এর দুরত্ব রমনা-তিস্তার পরিবর্তে রমনা রংপুর করার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
The Daily surjodoy
ইতিপূর্বে ট্রেনের জন্য কুড়িগ্রামের মানুষের রেল লাইনে শুয়ে পড়ার রেকর্ড আছে ।
আশাকরি, কর্তৃপক্ষ সেটা বিবেচনা করে অতিদ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নিবেন।