কুড়িগ্রাম সদর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টানা ৩য় বার ক্ষমতায় থেকে যে অভাবনীয় সাফল্য এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে পুনরায় আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে এবং দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করেছেন কুড়িগ্রাম জেলার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকুরী করলেও পরবর্তীতে অবসর নিয়ে তার নিজ এলাকায় অসহায় মানুষ এবং জনগণের পাশে বিভিন্ন সময় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি চলচিত্র পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। বিগত সময়ে তিনি গরীব এবং অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বস্ত্র বিতরন, অসহায় পরিবারের যেকোনো বিপদে পাশে দাঁড়ানো সহ বিগত করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা এবং খাদ্য সহায়তা ব্যবস্থা করে সাধারণ জনগণের মাঝে নিজেকে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। কুড়িগ্রাম জেলার বিগত কয়েকবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরন করেও বানভাসি মানুষের ব্যপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
২০০৬ সালের সংস্কার আন্দোলনে সামনে থেকে ঢাকার রাজপথে নেতৃত্বদান কারী আবু সুফিয়ান ছিলেন ততকালীন ঢাকা মহানগর ৯৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেসময় ঢাকা মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি সহ রাজপথ দখল করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। সেসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এম পি সহ ঢাকা মহানগরের সিনিয়র নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ততকালীন মেয়র হানিফ সহ ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ানের বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন আদর্শিক নেতা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও তিনি উপলব্ধি করেন নিজ জেলার মানুষের জন্য কিছু করার। সেই তাগিদ থেকে ২০০৮ সাল থেকে তিনি কুড়িগ্রাম সদর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যপক প্রচার প্রচারণা নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন।
এছাড়াও আবু সুফিয়ান বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় পাচ লাখ পিস গেঞ্জি এবং তিন লাখ পিস পাঞ্জাবি বিতরণ করে আলোচনায় এসেছিলেন এই মানবিক রাজনীতিবিদ। জনাব ইঞ্জিনিয়ার আবু সূফিয়ানের কাছে তার রাজনৈতিক ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,
১৯৭৮ ইং হইতে ১৯৮৮ ইং পর্যন্ত ততকালীন খলিল গন্জ হাইস্কুল, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা মহানগরের ততকালীন ৯৪ নং ওয়ার্ড যা বর্তমান ৯৯ নং ওয়ার্ড এর সদস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
পদে ছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ এর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি
মরহুম মন্জু মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলীর কমিটিতে তিনি
বণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন। । তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের লক্ষ্যে বি এন পি, এর বিরুদ্ধ সক্রিয় আন্দোলনে
গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি কুড়িগ্রাম জেলার দারিদ্র্য বিমোচন, নদী ভাঙ্গন রোধ সহ এই জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়েনে তার প্রণীত ৬ দফা দাবি ২০১৪ সাল হতে বর্তমানে চলমান রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি এবং সারা বাংলাদেশের মানুষের জনপ্রিয় নেত্রী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দিয়ে সংসদে যাওয়ার সু্যোগ করে দেন, তাহলে আমি আমার জন্মস্থান কুড়িগ্রাম বাসীর উন্নয়নে এবং পিছিয়ে পড়া এই প্রান্তিক জনগনের সমস্ত দাবী দাওয়া বাস্তবায়ন সহ এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব । তিনি আরও বলেন যেহেতু কুড়িগ্রাম জেলা নদী বেষ্টিত একটি জেলা, এবং এখানে অনেক চর রয়েছে। আমি এই চরাঞ্চল গুলোতে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শহরাঞ্চলের সাথে তাদের যোগাযোগ সমন্বয় সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা নির্মাণের ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী তার বিষয়ে তৃনমুলে অনুসন্ধান করলে তিনি নিশ্চয়ই অবগত হবেন আমি কতদিন যাবত মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। জনাব আবু সূফিয়ান আরও বলেন আমি যখন যে প্রান্তে ছুটে গিয়েছি সেখানকার জনগন আমাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন । আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি। তিনি আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট নৌকা মার্কার মনোনয়নের জন্য তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা এবং কর্মের মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬, কুড়িগ্রাম ২ আসনে আওয়ামী লীগের এম,পি পদে মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন যাবত কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম,ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে লক্ষাধিক মানুষের জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী জনসভা করে আবারও আলোচনায় আসেন। এছাড়াও তিনি জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার লোক নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কুড়িগ্রাম জেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
তিনি বিগত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসনে মনোনয়ন না পেয়ে এবং আওয়ামী লীগ এর কোন প্রার্থীনা থাকায় , সিংহ মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।