দ্বীন ইসলাম কুমিল্লা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অঞ্চলে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা সহ মাদক বিক্রির রঙ্গিন বানিজ্য। প্রকাশ্যে এমন বেহায়াপনায় পতিতাবৃত্তি সহ যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে সু কৌশলে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল সহ বহিরাগত অনেক লোক যৌন চাহিদা মিটাতে হোটেলগুলোতে আসছে নিয়মিত এবং চলে যাচ্ছে হরহামেশাই। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে হালাল ব্যবসায় পরিনত হয়েছে সমাজ ধ্বংসের মতো এই জঘন্য অপকর্ম।
বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সিলগালা করলেও সপ্তাহ না যেতেই পুনরায় শুরু হয় তাদের অপকর্ম।
হোটেলের সামনে চেয়ার পেতে বসে কাস্টমার ডাকছে দলবদ্ধভাবে, স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সুলভ মূল্যে পতিতা পাওয়ার টোকেন।
এসবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করলেও ফলাফল মিলেনি কখনো, বরং হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে সাংবাদিকদের। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা তাদেরকে শক্তিশালী করে তুলছে প্রতিনিয়ত। কুমিল্লা সদরের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কেই রয়েছে বেশ কিছু চিহিৃত আবাসিক হোটেল যেগুলোতে আবাসিক নাম দিলেও তাদের প্রধান কর্মকাণ্ড পতিতাবৃত্তি। কয়েকটি হোটেল মালিকের সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের উপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন প্রশাসন তাদের কখনো বাধা হয়ে দাড়ায় নি তবে কিছু সাংবাদিক তাদের এই ব্যবসায় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। মাসোহারা দিয়ে প্রশাসন সহ বেশ কিছু অপেশাদার কথিত সাংবাদিক তারা আয়ত্ব করতে পেরেছে তবে পেশাদার কিছু সাংবাদিক রয়েছে তাদের টার্গেটে।
কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় স্থানীয় একজন বৃদ্ধ লোক হোটেল মালিকদের এমন অপকর্মের কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে দু হাত তোলে তাদের হেদায়েত কামনা করেন। এবং তিনি এসব বন্ধ করতে দায়িত্ব শীল উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এছাড়াও জন প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ অঞ্চলে সমাজ রক্ষার্থে যেন এগিয়ে আসেন সেই অনুরোধ করেন।