কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা হাজতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন হাসিবকে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অনলাইন ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস, সহ সভাপতি মুন্সী শাহীন আহম্মেদ জুয়েল, কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহীন, সাধারন সম্পাদক লিপু খন্দকার, এটিএন বাংলার কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার কে এইচ তুহিন আহম্মেদ, দীপ্ত টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার, যমুনা টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন, দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শাহরিয়া ইমন রুবেল, ভয়েস অফ কুষ্টিয়ার নির্বাহী সম্পাদক অঞ্জন কৃষ্ণ শীল (শুভ), বাংলাদেশ টু ডে ও আজকের পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান নয়ন।
এসময় আরো ছিলেন গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি কাজী সাইফুল, দৈনিক আমার সময় কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এ জে সুজন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আমির টিপু, দৈনিক কুষ্টিয়ার খবরের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু মনি সাকলাইন এলিন, দৈনিক আইন বার্তা জেলা প্রতিনিধি নাব্বির আল নাফিজ, দৈনিক সময়ের দিগন্তের ক্রাইম রিপোর্টার আলেক চাঁদ, দৈনিক আমার সংবাদ এর কুমারখালী প্রতিনিধি মাসুদ রানা, আরশিনগর পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি আবু দাউদ রিপন, পদ্মা গড়াই প্রতিনিধি এম এ শাহীন, দৈনিক রূপকথার কুমারখালী প্রতিনিধি নাজমুল হাসান পাপ্পু, বিজয় টিভির কুমারখালী খোকসা প্রতিনিধি তানভীর লিটন, দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি সোহাগ মাহমুদ, বাংলা টিভির খোকসা কুমারখালী প্রতিনিধি এম এ উল্লাস প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, থানা হাজতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজন। আমার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত স্বাপক্ষে প্রচলিত আইনে শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান জানান, যৌথ অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে থানায় কোন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।এ সময় দায়িত্ব পালনকালে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন হাসিবকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে থানায় নিয়ে এসে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশ বিরুদ্ধে।