কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার নয়াচর ফকিরপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী জাহাঙ্গীর (২৭) নামের এক যুবক বিষ পানে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে অত্র এলাকায়।
জানা গেছে, নয়াচর ফকিরপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে মৃত্যু জাহাঙ্গীরের সাথে ৭ বছর আগে বিয়ে হয় জামালপুর জেলার দেওয়াগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের উত্তর গোয়ালকান্দা গ্রামের আঃ গফুরের মেয়ে রুমা খাতুনের (২৩)। দীর্ঘ ৭ বছর পেরুলেও কোন সন্তান আসেনি তাদের সংসারে। গত ২ জুলাই প্রতিবেশী রোকেয়া (২৫) নামের একজনকে বিয়ে করে ঢাকাতে চলে যায় জাহাঙ্গীর। ১২ জুলাই ১ম স্ত্রী রুমা ও তার বাবা গফুর ঢাকাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে ফেরৎ নিয়ে আসে রুমাদের বাড়ীতে।
১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১.৩০টায় রুমা তার দেবর ফারুক এবং শশুর আজগরকে জানায় জাহাঙ্গীর বিষ খেয়েছে। রাত ২.০০ টায় জাহাঙ্গীরের স্বজনরা রাজিবপুর হাসপাতালে আসে। অপর দিকে রুমা ও তার বাবা গফুর জাহাঙ্গীরকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে ভোর ৩.৩০টায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে দেখে জানান, “জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।”
ছেলের বাবা আজগর আলী সাংবাদিককে জানান, “গত রাতে আমার ছেলে আমাদের সাথে ফোনে কথা বলেছে রাত ১০টার দিকে। সে তখন ভাল ছিল। বিষ খাইয়া মরে নাই। ছেলেকে মাইরা বিষ মুখে দিয়া হাসপাতালে নিয়া আইছে। আমি তাগোরে বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের প্রতিবেশী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, “জাহাঙ্গীর ভাল মানুষ ছিল, মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। ২য় বিয়ের কারণে মেরে ফেলার সম্ভাবনা আছে দাবী স্বজনদের। তবে ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে কতিপয় কিছু লোক পায়তারা চালাচ্ছে। সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবীও জানিয়েছেন স্বজনরা।”
১ম স্ত্রী রুমা জানান, “রাত ১১টায় আমরা একসঙ্গে ঘুমাইছি। ১২টায় ঘুম ভাঙ্গলে জাহাঙ্গীরের মুখে বিষের গন্ধ পাইয়া বাড়ীর মানুষজন ডাকছি। পরে ফোনে শশুর বাড়ীতে জানাইছি। তারপর হাসপাতালে নিয়া আইছি।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজিবপুর থানার এসআই জালাল উদ্দিন জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে ঠানো হয়েছে।