ডেস্কঃ
কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর ও দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রধান কারণ উজানের ঢল এবং টানা বৃষ্টিপাত। যার ফলশ্রুতিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীতে শূন্য দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদীতে শূন্য দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদে শূন্য দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, পানি বাড়লেও আপাতত বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। এ মাসের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তবে বন্যার আশঙ্কা নেই। ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এ সব এলাকার গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। নিমজ্জিত হয়েছে পাট, ভুট্টা, সবজি ক্ষেত ও বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে আউশ ধান ও কাউন। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের কাইয়ার চরের বাসিন্দা সামাদ মিয়াসহ অনেকে জানান, অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গঙ্গাধর আর দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির চারদিক ভরে গেছে। চরাঞ্চলের কাউন এবং আউশ ধান পুরাটাই পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দিকে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুব গেছে। এ ছাড়াও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকটি এলাকায় নদ-নদীর ভাঙ্গন বেড়েছে। অপরদিকে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দইউনিয়নের কালিরমেলা গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আহমদ আলী, আয়নাল হক, হবিবর রহমান, নিশিকান্তের ৪টি বসতবাড়ি ভেঙ্গে যায়। এ ছাড়াও অনেকের সুপারির বাগান, ফসলের জমিসহ ফলের বাগানের কিছু অংশ বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কালিরমেলা সরকারি প্রাথমিক, কালিরমেলা বাজারসহ নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy