
কুড়িগ্রামে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে চিলমারী নৌ-ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ঈদুল আযহা উপলক্ষে শিথিল রাখার পর ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মাঝে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেছে সরকার। এমন ঘোষনার পর সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে চিলমারী নৌ-ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল দেখা দিয়েছে। শনিবার ভোর রাত থেকে এপথে বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের ঢল নামলেও স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই ছিল না। এ সুযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ ছোট-বড় সব রকম নৌকা এবং বালু উত্তোলনকারী ট্রলার দিয়ে ঝুকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করছে। এতে যে কোন সময় বড় রকমের নৌ-দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।
জানাগেছে,ঈদুল আযহার ছুটি শেষে ১আগষ্ট থেকে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলমান কঠোর লকডাউনে সব রকম দুর পাল্লার গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুর, লালমনিরহাট, রাজারহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টস কর্মীরা চিলমারী নৌ-পথে রৌমারী বা রাজিবপুর হয়ে অটোরিক্সা, সিএনজিসহ বিভিন্ন ছোট-ছোট যানে করে ঢাকা যাওয়ার পথ বেচে নেয়। ফলে শনিবার সকাল থেকেই ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন ঘাটে ঢাকাগামী জনতার ঢল নামতে শুরু করে।
সরেজমিনে শনিবার সকালে উপজেলা রমনা ঘাট,ব্যাংমারা ঘাট, রাজারভিটা ঘাট, পুটিমারী ঘাট, ফকিরেরহাট ঘাট ও জোড়গাছ ঘাট থেকে অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর নৌকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। রমনা ঘাট এলাকায় চোখে পড়ে যাত্রীবাহী নৌকায় এত যাত্রী বহন সংকুলান না হওয়ায় বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার ট্রলার সমুহ দিয়েও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এ সময় অধিকাংশ মানুষের মুখে কোন মাস্ক দেখা যায়নি এমনকি সেখানে কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই ছিল না। যাত্রীর তুলনায় নৌ-যানের সংখ্যা কম হওয়ায় হুমড়ি খেয়ে নৌকায় উঠতে অনেকে পানিতে পড়ে ভিজে যাচ্ছে।সকালে নৌকার সই ভেঙ্গে দুই যাত্রী অসুস্থ্য হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। অধিক যাত্রীর সুযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামত দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছেন বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
চিলমারী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,যেহেতু শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে তাই আমরা স্বাস্থবিধি মেনে এবং অতিরিক্ত যাত্রী না তুলে নৌকা চলাচলের জন্য বলেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান, হঠাৎ করে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে যাতে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে নৌ-থানা,চিলমারী থানা ও বিআইডব্লিউটিএ কে বলে দেয়া হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply