কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ। এ যুদ্ধে কুড়িগ্রামের ১৩৭জন পুলিশ সদস্য সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাদের মধ্যে এখন জীবিত আছেন ৯১জন। জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রায়ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সংবর্ধনার আয়োজন করে। শুক্রবার কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা নাসির উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, ডঃ আনোয়ার হোসেন মন্ডল, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন প্রমুখ।
এসময় পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের মাঝে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, জেলার ১৩৭জন বিভিন্ন পদবীর পুলিশ সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২জন যুদ্ধে শহীদ হন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আরো ৪৪জন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। অবশিষ্ট ৯১জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে। একই সাথে শহীদ ও প্রায়ত ৪৬জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy