প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ৬:৩৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ৩:০১ পি.এম
কুড়িগ্রামে পুলিশ সদ্যসের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় কচাকাটা ইউনিয়নে বিয়ের দাবীতে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে নীলফামারীর এক কলেজ ছাত্রী তিনদিন ধরে অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায়।
বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়া কলেজ ছাত্রী লিপি নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজর অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডোমার থানার নাউতাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামে মেয়ে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রাশেদ নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়কের হাট মন্ডলপাড়া গ্রামের কুশাই মিয়ার ছেলে।
লিপি জানায়, ২০১৮ সালে আমার উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালিন সময় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিল কনস্টেবল রাশেদ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রেই তার সাথে দ'জনের পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে রাশেদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। সেই থেকে আমরা একসাথে চলা ফেরা এবং মেলামেশা করেছি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আজকাল করে আমাকে ঘুরাতে থাকে। গত তিনমাস থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এবং অন্যত্র বদলি হয়ে গেছে। রাশেদের দেয়া ঠিকানায় আমি তার বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।
এদিকে রাশেদের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে জোর পূর্বক বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ওই রাতেই কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মেয়েটিকে নিজ বাড়ীতে হেফাজতে নেন। তিনদিন থেকে মেয়েটি চেয়ারম্যানের বাড়িতেই রয়েছেন।
এ বিষয়ে রাশেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। রাশেদের কর্মস্থলসহ তথ্য চাইলে পরিবারের সদস্যরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে এই বিষয়ে রাশেদের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটি জোড় করে রাশেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। আমার ছোট ভাইয়ের সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। এছাড়াও গত দু'বছর আগে পারিবারিকভাবে রাশেদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়েটি রাশেদসহ আমাদের বিপদে ফেলতে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারণে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরিবাররের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy