কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আখি আক্তারকে তুলে নিয়ে গেছে প্রেমিক মাইনুল ইসলাম মুন। বিয়ের কথা বলে তুলে নিয়ে গেলেও ৪দিন পার হওয়ার পরও বিয়ে না করায় বিয়ের দাবিতে ৪দিন যাবত অবস্থান করছে প্রেমিকের বাড়ীতে আখি।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে গত বৃহঃবার সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় বেরুবাড়ী আবাসন বাজার সংলগ্ন শহিদুলের মেয়ে আখি আক্তারকে বাড়ী থেকে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র মাইনুল ইসলাম মুন। রিক্সাযোগে আখি আক্তারকে এক বাড়ীতে নিয়ে রাখে, সেখানে সারাদিন ঘরে আটকে রাখার পর বিকালে বেরুবাড়ীর চরাঞ্চলের এক বাড়ীতে নিয়ে রাত কাটায়।
সেখানে রাত কাটানোর পর এলাকায় বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে মাইনুল ইসলাম মুন পালিয়ে যায়। পরে মেয়ে নিরুপায় হয়ে প্রেমিক মাইনুলের বাড়ীতে অবস্থান নিলে স্থানীয় টাউট কাটপারগন মিমাংসার কথা বলে মেয়েটিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সৈয়দ আলীর বাড়ীতে রাখে সেখানে ৪দিন পার হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এদিকে শহিদুল তার মেয়েকে খোজাখুজির পর না পেয়ে এলাকার মহৎগনের মাধ্যমে মাইনুলের সাথে যোগাযোগ করলে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে জানতে পারে তার মেয়েকে সেই লম্পট নিয়ে গেছে। বর্তমানে তার মেয়ে স্থানীয় মহত সৈয়দ আলী মেম্বারের বাড়ীতে আছে।
এ বিষয়ে আখি আক্তারের সাথে কথা বলে জানাগেছে তার প্রেমিক মাইনুল ইসলাম মুন তাকে বিয়ে করবে বলে গত বৃহঃবার বাড়ী থেকে নিয়ে আসে। তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে মাইনুল বলে দুরে আছি,বিয়ের কথা বললে সে বলে বিয়ে করার জন্যই তোমাকে নিয়ে আসছি এবং তোমাকে বিয়ে করব।
স্থানীয় মহৎ মোসলেম উদ্দিন জানায় আমরা বিষয়টি জানার পরে আখি আক্তারের সাথে কথা বলেছি এবং স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
আখি আক্তারের মা বলেন আমার মেয়েকে মাইনুলের সাথে বিয়ে না দিলে আমাদের মাইনুল আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখাত। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন হতদরিদ্র মেয়ের পিতা শহিদুল ইসলাম।