আশিকুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা কেয়ার এন্ড শাইন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় রাস্তার ধারে বসবাসকারী অসহায় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তরুণদের নিয়ে গঠিত যুব ও সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক খবিরুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম ২৩ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ২৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত রাস্তা বা রাস্তার ধারে বসবাসকারী অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে। শীতবস্ত্র বিতরণ প্রোগ্রামটির উদ্বোধন করেন ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আশিকুর রহমান। এই ছয় সদস্যবিশিষ্ট টিমে সভাপতির সাথে ছিলেন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রুবেল, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান নিলয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, উপ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন রিয়াদ এবং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন খবিরুল ইসলাম স্বপন।
টিমটি রাত ৮ টায় বের হয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট, আন্ধারীঝাড়, পাইকেরছড়া, সোনাহাট, বলদিয়া, চর-ভূরুঙ্গামারী, ভূরুঙ্গামারী সদর, তিলাই, শিলখুঁড়ি ও পাথরডুবি ইউনিয়নগুলোতে রাস্তার ধারে বসবাসকারী রাতের পাহারাদার, গৃহহীন মানুষ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের মাঝে কেয়ার এন্ড শাইন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করে।
কেয়ার এন্ড শাইন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রবাসীদের একটি সংস্থা; যেটি গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থাটিকে অসহায় মানুষদের আশার প্রতীকও বলা যায়। শিক্ষার মানোন্নয়ন, অসহায় রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ প্রদান, প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছানোসহ সমগ্র দেশজুড়ে সংস্থাটি নানাবিধ টেকসই উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।
ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত একটি যুব সংগঠন। সংগঠনটি বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ও করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ, যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্ন-কর্মসংস্থান, প্রান্তিক অঞ্চলে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, যেকোন দুর্যোগে অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ সংগঠনটি নানাবিধ গঠনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।