কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক’কে অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩৫৪/৪২৭ পেনাল কোডে একটি মামলা হয়। মামলা নং-১২।
অন্যান্য আসামিরা হলেন-৩নং রুদ্র, ৪নং সৌরভ, ৫নং উৎস এবং ৬নং মাসুদ রানা।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওবায়দুর রহমান
মামলা করার কথা নিশ্চিত করেন বলেন, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। গতকালকে হামলার ঘটনায় যারা নেপথ্যে আছে এবং দলের ভাবমূর্তি যারা ক্ষুন্ন করেছে তাদেরও খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে মঙ্গলবার জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিতসভা শুরুর আগে এক প্রেসবিফিং এ সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৫সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের কেউ হতে পারে না। গতকাল যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনার সাথে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন ঘটনাও নয়। কারো ছায়া তলে থেকে কেউ দলের ভিতর বিভেদ ও বিভাজন করার চেষ্টা করছে। আমরা এজন্য ব্যথিত ও দুঃখিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ৫সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে আছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি, আসলাম হোসেন সওদাগর এমপি, এম এ মতিন এমপি, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন। তদন্তে যেই দোষী হিসাবে চিহিৃত হবে তার বিরুদ্ধে দল সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে। কারণ হামলাকারীরা কেউ দলের প্রকৃত কর্মী হতে পারে না। আওয়ামীলীগ একটি সু-সংগঠিত দল। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত দল। সংগঠনের সভানেত্রীর নির্দেশে দলকে সু-সংগঠিত করার জন্য এবং তৃণমুল পর্যায়ে আসন্ন নির্বাচনে দলের সঠিক নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে সারাদেশে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির এ বর্ধিত সভা পূর্ব নির্ধারিত।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো: শাহরিয়ার মামলার কথা স্বীকার করে বলেন,আ.ন.ম ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে।