কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
Facebook Twitter Instagram share
করােনা ২য় ঢেউ চলাকালীন সময় বিধিনিষেধ থাকা সত্বেও কুড়িগ্রাম ঈদ উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। ঈদ উৎসবের দলে দলে মানুষ ভীড় জমাচ্ছে জেলার ঘুরে বেড়ানার স্থান গুলোতে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ধরলার সেতুর পাড়ে।ঈদের দিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসমুদ্র পরিনিতি হয়।এসময় মানুষ আর যানবাহনের চাপে পুরো সেতুর উপর যানজটের সৃষ্টি হয়।
Surjodoy.com
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আর ভীর সামলাতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভির এবং কােলাহল মূখরিত হয়ে উঠে ধরলার সেতুসহ দুই পাড়। এমন দৃশ্য
দেখে কারোই মনে হবে না করােনা মহামারী বলে দেশে কিছু আছে? ঈদ আনন্দে তরুণ তরুণীরা আত্মহারা। ঈদের আনন্দ উপভােগ করতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার যুবক-যুবতি, নারী-পুরুষ, শিশুদের সেতুসহ, নদীর দুই পাড়, বাঁধ এবং বালু চর ভীড় জমায়। অনেক সেতুর উপর ও বাঁধ এবং ধরলা নদীর কাছাকাছি গিয়ে প্রিয়জনের সাথে ছবি উঠানো আর ও সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে নৌ ভ্রমণে বের হয়।
The Daily surjodoy
আবার কেউ পায়ে হেটে,ভ্যান, রিক্সা, অটাে, মােটর সাইকেল, বাইসাইকেল, মাইক্রােবাস করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। এসব যানবাহনের চাপে ধরলা সেতু এবং ফুলবাড়ি উপজেলায় শেখ হাসিনা সেতুর উপরে র্দীঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের এই মহা উৎসবে অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে ছিল না মাস্ক। স্বাস্থ্য সচেতনতা মানার কোন প্রণবতা ছিল না। মানুষের এমন মিলনকে ঘিরে নদীর পাড় ফুচকা, চানাচুর, আইসক্রিম,চুরি-ফিতা ও বলুনসহ বিভিন্ন রকমারীর দােকান বসে। এসব দােকান গুলোতে ছিলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। দর্শনার্থীর ভীড় সামলাতে না পারায় তাদের নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া কিছু ছিলাে না।
The Daily surjodoy
শাহবাজার এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরনবী সরকার জানান, ঈদের আনন্দ উপভােগ করতে তারা ধরলার পাড় এসেছেন। দর্শনার্থীদের ভীড় দেখে অবাক হয়েছেন।
ঘুড়তে আসা বুলবুলি আকতার বলেন,শহরে বিনোদন কোন পার্ক না থাকায় পরিবার নিয়ে এই ব্রিজ পারে বেড়াতে এসেছেন।
শিল্পী সরকার বলেন,এতো সমাগমে স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রায় অসম্ভব। তারপরও যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি।
সবুজ বলেন বছরের একটা দিনে বন্ধুদের নিয়ে ছবি ও সেলফি তুলে ফেসবুক পােষ্ট করছি। সেই সাথে ধরলা নদীতে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরেছি। সব মিলিয়ে করোনার প্রভাব আমাদের এবারের ঈদ-আনন্দটা বিলিন হয়নি। ধরলা পাড়ের মুক্ত বাতাসে কােন ধরনের অসুবিধা হবে না।
The Daily surjodoy
শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে দায়িত্ব থাকা লালমনিরহাট সদর থানার এস আই কামাল হােসেন বলেন, কােন ভাবেই দর্শনার্থীদের ঠেকানাে যাচ্ছে না।
ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, সমাগম না হয় সে ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি। ধরলা সেতুর পাড় পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, ধরলা পাড় দর্শনার্থীর ঢলের বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমি নিজেই সেখান উপস্থিত হই। দর্শনার্থীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনা মূলক প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply