প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ১২:৪৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৩০, ২০২১, ৪:২১ এ.এম
ক্ষুব্দ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ছিল না মুক্তিযোদ্ধারা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান।
তাদের ত্যাগ,অবদানে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। সে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক নামকরণের মাধ্যমে সম্মান দিয়ে যাচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় চন্দনাইশে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬’শ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে।
গতকাল ২৯ আগস্ট সকালে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের উত্তর পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ১৬ শতক জমির উপর ৩ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে,৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬’শ টাকা। যা আগামী ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কেউ উপস্থিত ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন,
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন,দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,প্রকৌশলী রেজাউন নবী,আ.লীগ নেতা মনছুর আলী ফয়সাল,জসিম উদ্দীন চৌধুরী,
আবদুস ছবুর, সাইফুল ইসলাম শিপন প্রমূখ। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন অথচ
মুক্তিযোদ্ধাদের কাউকে এ অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি। কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণে স্থানীয় সংসদ সদস্য,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সংসদের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়।
কি এক অজানা ও রহস্যজনক কারণে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বা সংসদের কোন নেতৃবৃন্দকে এ অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন নবীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু কেন তারা আসে নাই বা দাওয়াত দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে ইউএনও বা উপজেলা প্রকৌশলী বলতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy