1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
ক্ষেতলালে রাস্তা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কীটনাশক ছিটিয়ে কৃষকের ধান ক্ষেতে পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল

ক্ষেতলালে রাস্তা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কীটনাশক ছিটিয়ে কৃষকের ধান ক্ষেতে পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১, ৭.১৩ পিএম
  • ১৮১ বার পঠিত

ওয়াকিল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের জমির মালিকদের নিকট পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য জমি চেয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে রাস্তা পরিমান জমির ফসল আগাছানাশক ছিটিয়ে নষ্ট করছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর ও পার্শ্ববরতী শেখপাড়া গ্রামে তিন বছর ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বার গত বৃহস্পতিবার রাতে উক্ত ঘটনাটি আবার ঘটে। ওই এলাকার সুধীজন’রা বলছেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রাস্তা দেওয়া ও জমির ফসল নষ্ট করা নিয়ে তিন বছর যাবৎ এ বিবাদ চলছে। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন মহল ও দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান হয়নি। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে খুন জখম ও হতাহতের ঘটনা।

দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের জমির মালিক মোসলেম ও মোজাহার দুই ভাই জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়’কে জানায়, আমাদের গ্রাম থেকে পার্শ্ববরর্তী শেখপাড়া গ্রামের দুরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হাইদার, রাজ্জাক সরদারের ছেলে শাহাজুল ইসলাম, মছর ছেলে আলতাফ হোসেন, দুখু মিয়া, রাজ্জাক ফকিরের ছেলে তছলিম সহ আরও অনেকে তিন বছর আগে আমি সহ বেশ কয়েকজন জমির মালিকের নিকট এসে বলেছিলেন আমাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য আপনাদের জমির পাশদিয়ে রাস্তা বেধে নিতে চাই। এক বছর আগে রাতে গোপনে কিছুটা রাস্তা বেধে ছিল। পরে অন্যন্য জমির মালিকরা জানতে পেয়ে সে টুকু ভেঙ্গ ফেলেছে। ঐ এলাকা দিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের ফসিল জমি রয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বিঘা। গ্রামের অন্যান্য ব্যক্তিদের মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ বিঘার মত জমি পরেছে উক্ত স্থানে কিন্তু গ্রামের রাস্তা থাকা স্বত্বেও নতুন করে রাস্তা তৈরী করতে দিলে আমাদের জমির ক্ষতি হবে এই ভেবে তাদেরকে নতুন রাস্তা তৈরী করতে নিষেধ করেছিলাম। এরপর থেকে যে দিক দিয়ে তারা রাস্তা চেয়েছিল, সেই দিক দিয়ে প্রতিবছর কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে ক্ষতিকারক আগাছানাশক স্প্রে করে এলাকার আলুর মৌসুমে আলু ও ধানের মৌসুমে ধান এবং অন্যন্য ফসল নষ্ট করছে৷

এ বিষয়ে গত বছর ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদ, কৃষি অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছিলাম কোন ব্যবস্থা হয়নি৷ এলাকার একাধিক ব্যক্তি সূর্যোদয়’কে বলেছে, শেখপাড়া গ্রামের পূর্বদিকে মেইন সড়কে ওঠার জন্য ইউনিয়ন বোর্ডের ইট সলিং পাকা সংযোগ সড়ক থাকা স্বত্ত্বেও তারা আবারও আমাদের এই জমির উপর দিয়ে নতুন ভাবে সড়ক চায়। পরে আমরা না দিলে পরিকল্পিত ভাবে তিন বছর যাবৎ আমাদের লাগানো এই সমস্ত ফসলে বিষ ছিটিয়ে ক্ষতি করছে।

আরও জানা গেছ, অত্র এলাকার অধিকাংশ জমির মালিক’রা সমস্ত জমি নিজে চাষ করে না। তারা অন্য দরিদ্র কৃষকদের নিকট মোটাংকের টাকা নিয়ে সনপত্তন রাখে। এতে বছরের পর বছর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা।

এ বিষয়ে শেখপাড়া গ্রামের রাজ্জাক সরদারের ছেলে শাহাজুল ইসলাম, মছর ছেলে আলতাফ হোসেন, দুখু মিয়া, রাজ্জাক ফকিরের ছেলে তছলিম সহ আরও অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমাদের গ্রামের ছেলে মেয়েরা দক্ষিণ হাটশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখা পড়া করে। বর্ষা মৌসুমে জমির আইল দিয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাতায়াতে অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। এমন সুবিধার জন্য ওই স্কুল পর্যন্ত ছোট একটি সংযোগ সড়ক চেয়ছিলাম। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বাসে আমরা কিছুদুর পর্যন্ত রাস্তা বেধে ছিলাম। সেটুকুও তারা কেটে ফেলেছে। এরপর ওই রাস্তা বিষয়ে আমরা আর কোন কথা বলিনি এবং তাদের জমির ফসলেরও কোন ক্ষতি করিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর হোসেন বলেন, দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি আমার নিকট এসে অভিযোগ করেছিলেন। ওই দিক দিয়ে শেখপাড়া গ্রামের সংযোগ সড়ক নির্মান করতে তারা কোন জমি দিবে না। তবে তাদের ফসল কে বা কারা নষ্ট করেছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews