দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দলগতভাবে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় পুনরায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে বেগম জিয়ার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে পুনরায় ইমেজ সংকটে পড়বে বিএনপি। এ কারণেই তারা বেগম জিয়ার ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছেন পরিবার ও আইনজীবীদের হাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির মধ্যম সারির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে এর আগে দলের মধ্যে অনেকবার ইঁদুর-বিড়াল খেলা হয়েছে। একজন আরেকজনের উপর দায় চাপিয়েছেন। প্রথমত এসব ইঁদুর-বিড়াল খেলা বন্ধ করতে হবে। তারপর পরিবার ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তার মুক্তি বা জামিন আবেদনে শীর্ষ নেতাদের প্রথম সারিতে থাকা দরকার, কিন্তু তা না করে বিষয়টিকে পরিবার ও আইনজীবীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এটা চরম ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে বিএনপি নেতারা উদাসীন। এ কারণে দুই বছরের অধিক সময় তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। পরিবার ও আইনজীবীরা সম্মিলিত প্রচেষ্টা না চালালে বেগম জিয়ার পরিণতি আরো করুন হতে পারে।