পটুয়াখালীর গলাচিপায় খুনের ভয় দেখিয়ে গত প্রায় ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছ্ ে১৬ বছরের এক কিশোরী। এ ঘটনায় তিন সন্তানের জনক ধর্ষক কামরুল আকনের(৩০) বিরুদ্ধে সোমবার গলাচিপা থানায় মামলা করেছে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। খুনের ভয়ে কিশোরীটি এতোদিন মুখ খুলেনি। পরে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে জানাজানি হয়। কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামের ষোল বছরের কিশোরীর বাবা মাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ায় মা অন্যজনকে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। তাই ছোটবেলা থেকেই কিশোরীটি মামা সহিদুল আকনের বাড়িতে থাকতো। মামা গ্রামের বাজারের সামান্য কলা ব্যবসায়ী। দুই সন্তানের জনক অভিযুক্ত কামরুল আকন (৩০) প্রতিবেশী। প্রথম ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল ২০২০ তারিখ দুপুরে কিশোরীর মামা সহিদুল ভাত খেয়ে কলা কিনতে গ্রামের বাজারে চলে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কামরুল ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরী চিৎকার দিলে মুখ চেপে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে হুমকি দিয়ে শাসিয়ে যায় ‘এ ধর্ষণের কথা কাউকে বললে খুন করে ফেলবে’। তখন কিশোরীটি মান সম্মাননের ভয়ে কাউকে কিছু বলে নাই। এরপর কামরুল সুযোগ পেয়ে বিভিন্ন সময় কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে। গত দুই মাস আগে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে তার মামি বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।
এ বিষয় ধর্ষনের শিকার কিশোরী বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের বাবার পরিচয় ও ধর্ষণের বিচার চাই।’
গলাচিপা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কিশোরীটি বাদী হয়ে চরকাজল ইউনিয়নের মো. সিদ্দিক আকনের ছেলে মো. কামরুল আকনের নামে সোমবার ট মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে দুই বার অভিযান চালানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।