খুলনায় বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে একটি বেকারি মালামালসহ চারটি ইজিবাইক পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে ।

মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে মহানগরীর খালিশপুর আলমনগর এলাকার রায়হান বেকারিতে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বেকারির মালামাল ও ইজিবাইকসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

রায়হান বেকারির মালিক রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে দোকানে আগুন লাগে। আগুনের সংবাদ ফায়ার সার্ভিসকে দেওয়া হলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্তু তার আগেই দোকানের মালামাল, পণ্য সামগ্রী, ফ্রিজ, চারটি ইজিবাইক ও একটি বাইসাইকেল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, দোকানের চারটি ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জে দেওয়া ছিল। আগুনের সূত্রপাত সেখান থেকেই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া বেকারির পাশের বাবুল ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী  বাবুল বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাশের দোকানে আগুন লেগেছে বলে জানতে পারি। শুনেই দোকানের সামনে চলে আসি। এসে দেখি আগুন জ্বলছে। ভেবেছি আমার দোকান পুড়ে গেছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আমার দোকানটি রক্ষা পায়। তবে পাশের রায়হান বেকারি মালামাল, ফ্রিজ ও চারটি ইজিবাইক পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা যদি সঠিক সময়ে না আসতো, তাহলে আমার দোকানসহ এখানকার অসংখ্য দোকান পুড়ে যেত।

স্থানীয় ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার শালক কিছুদিন আগে একটি ইজিবাইক ক্রয় করে। গতরাতে ইজিবাইকটি দোকানে চার্জে লাগিয়ে বাসায় যায়। পরে জানতে পারে দোকানে আগুন লেগেছে। সেই আগুনে তার ইজিবাইকটিও পুড়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে বাইক ও ব্যাটারি মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচে ইজিবাইকটি কিনেছিল।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খালিশপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সরদার বলেন, রাত ৩ টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছি। স্টেশন থেকে কাছে আগুন লাগার ঘটনা হওয়ায় ৩.৩৭ মিনিটেই আমরা পৌছে যায়। আমাদের দুটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। রায়হান বেকারির পেছনে চারটি ইজিবাইক চার্জে বসানো ছিল।  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে দোকানে মালামাল ও যে বাইকগুলো ছিল তা পুড়ে গেছে। কিন্তু সঠিক সময়ে পৌঁছানোর কারণে পার্শ্ববর্তী অসংখ্য দোকানপাট আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।  শুধুমাত্র ওই বেকারি ব্যতীত আর কোন দোকানের ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে দোকানের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।