শুক্রবার সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ইলিশে সরগরম হয়ে আছে খুলনার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়ত। ঘাটে নোঙর করা নৌকা থেকে ইলিশ নামাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর পুরো আড়ত।
জানা গেছে, অগভীর সমুদ্র, আন্ধারমানিক মোহনা, রামনাবাত মোহনা, বুড়ো গৌরাঙ্গ মোহনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এছাড়া বরিশাল-চাঁদপুর থেকেও ট্রলারে করে খুলনার বিভিন্ন ঘাটে ইলিশ আনছেন জেলে-ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে ট্রাকে করে যাচ্ছে পাইকারি আড়তগুলোতে। পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম কম হওয়ায় বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে ইলিশ ব্যবসায়ী, আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আড়তদাররা জানান, কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ সাগরের লোনা পানির মাছ। বর্ষা মৌসুমে নদীতে ডিম ছাড়তে এসে জেলেদের জালে ধারা পড়ে। কিন্তু এ বছর ডুবো চরে বাধা পেয়ে নদীতে আসতে পারেনি। তাই নদীতে কম ইলিশ পাওয়া গেলেও সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে।
রূপসা নতুন বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মেহেদী জানান, বাজারে প্রচুর ইলিশ আসছে। এ কারণে দামও কমে গেছে। আগে যে ইলিশের কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা ছিল, তা এখন ৯০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স পরিচালক মো. আবু মুসা জানান, আড়তে আগের তুলনায় অনেক ইলিশ আসছে। দামও কম। ৩০০-৪০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা। এক কেজির বড় ইলিশের পাইকারি দাম ৭০০-৮০০ টাকা। তবে নদীর ইলিশের তুলনায় সাগরের ইলিশের স্বাদ কম হওয়ায় ক্রেতার আগ্রহও কম।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy