এম আর হাসান জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছিল। এসময় নেতার্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয় এবং লাঠি চার্জ করে। দু’দফায় পুলিশ হামলা চালায়। এতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটক করেছে। তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সাংবাদিক দেবব্রত রায় আহত হয়েছেন এসময় তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচারণ শুরু করে তাদের আঘাতে আমাদের কিছু নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের দমাতে পারবেনা খুলনার জণগন রক্ত দিতে প্রস্তুত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার বলেছেন বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য যে কোন আন্দোলন করতে পারে সেখানে পুলিশ কোন আক্রমণ করতে পারবে না। অনুমতি দেওয়া সত্বেও পুলিশ আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।
নগর সভাপতি মঞ্জু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচীর আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হাটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তারা সমাবেশ শুরু করে। পরে সোয়া ১২ টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয় আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়। তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এর আগে সকাল থেকে খুলনায় সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয় পুলিশ। অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড আগত দলীয় কর্মীরা জড়ো হতে থাকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলে দলে আসতে থাকে ও স্লোগান দিতে থাকে।