তৌহিদুল ইসলাম সরকার:ময়মনসিংহ,
সুনামগঞ্জের গণমাধ্যম সংবাদ কর্মী বিশ্বের চতুর্থ স্তম্ভ জাতির বিবেক কে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদ কর্মী কামাল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে,ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার একটি নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদ কর্মী কামাল হোসেন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বেধড়ক মারধর করে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
এতে তাঁর মুখ, মাথা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও জখম হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদের ঘাগটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল হোসেন বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি দৈনিক সংবাদ ও সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক শুভ প্রতিদিনের তাহিরপুর উপজেলা গণমাধ্যম প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
গণমাধ্যম সাংবাদ কর্মী কামাল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভিডিও প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
তাতে দেখা যায়, বাঁধা অবস্থায় তিনি আহাজারি করছেন,বেশ কিছু মানুষ তাঁকে ঘিরে আছে।
তাঁর কপাল থেকে রক্ত ঝরছিল,তাঁর হাতের বাঁধন একটু হালকা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর দোয়াই দিয়ে অনুরোধ করছেন তিনি,পাশে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে নিয়ে তখন উপহাস করছিলেন।
দৈনিক সংবাদের সংবাদ কর্মী সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি লতিফুর রহমান বলেন, কামাল হোসেন দৈনিক সংবাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে দেখছেন কেন ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাদুকাটা নদের তীর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদের তথ্য সংগ্রহ ও ছবি নিতে সোমবার দুপুরে ওই এলাকায় যান সংবাদকর্মী কামাল হোসেন।
সেখানে কয়েকজন তাঁকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন,এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে ওই ব্যক্তিরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান পাশের চকবাজারে,সেখানে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে তাঁকে বেঁধে রাখা হয়।
খবর পেয়ে বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় আরেক সাংবাদিক ও কামাল হোসেনের পরিবারের লোকজন এলাকার বাদাঘাট ফাঁড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
Leave a Reply